পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি সমাজের প্রাণশক্তি যেদিন থেকে ক্ষীণ হয়েছে, সেইদিন থেকেই রাজদণ্ড আমাদের হাত থেকে খসে পড়েছে ; আর আমরা দুর্বলতাকে বৈরাগ্যের রঙে রাঙিয়ে আধ্যাত্মিক অভিমানে ফুলে ওঠবার চেষ্টা করেছিা! আজ রাজনীতির ক্ষেত্রেও সেই আধ্যাত্মিক আত্মপ্ৰবঞ্চনা চলছে। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা না-কি অহিংসাত্মকসত্যাগ্ৰহ নামক এমন একটা অদ্ভূত অস্ত্ৰ বার করেছেন, যা প্ৰেমাসে লাগাতে পারলে গোখরো সাপও কেঁচো হয়ে যায় । দক্ষিণ-আফ্রিকা থেকে আরম্ভ করে দিল্লী পৰ্য্যন্ত না-কি এই নবীন ব্ৰহ্মান্ত্রের পরীক্ষা হয়ে গেছে ; আর সর্বত্রই না-কি তার অব্যৰ্থতা প্ৰমাণ হয়ে গেছে। আধ্যাত্মিক-চক্ষু আমার নেই; কিন্তু এই চৰ্ম্ম-চক্ষু দিয়ে দেখতে পাচ্ছি যে, এই ব্ৰহ্মান্ত্রের ঘা খেয়েও জেনারেল স্মাটাস এখনও দিব্যি বেঁচে আছেন ; আর নোটাল-প্রবাসী ভারতীয়দের আগেও দুঃখ যেমন ছিল, এখনও ঠিক তাই-ই আছে। গত পচিশ বৎসর ধরে ভারতবর্ষে এই নবীন ব্ৰহ্মান্ত্রের নানাবিধ কসরত দেখান হয়েছে, কিন্তু এই ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ প্ৰয়োগের ফলে শত্ৰুপক্ষ যে মিত্রপক্ষে পরিণত হয়েছে, বা অনুতপ্ত হয়ে শুকিয়ে গেছে তার তো কোন প্ৰমাণ পাই নে । তোমরা হয়ত বলবে-বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট যে তিনতিনটে মন্ত্রীকে এদেশে পাঠিয়ে সন্ধির প্রস্তাব করছেন, ওটা কিসের ফল ? ও-কথা বলে যদি আত্মপ্ৰসাদ লাভ করতে পার তো তাতে আমি আপত্তি করবো না । কিন্তু 总8