পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মনে মনে আমি বলবো।-“কাক ম’লে ঝড়ে, আর প্যাচা বলে আমার শাপ লাগলো হাড়ে হাড়ে ।” আমার কি মনে হয়, জান ? তোমাদের ঐ যে সত্যাগ্ৰহ, ওটা সেকালের মানভঞ্জন পালারই রকম ফের। যেখানে দু’জনের মধ্যে সম্বন্ধ শুধু ভালবাসার, সেইখানেই ঐ মানভঞ্জনের পালা গেয়ে সুফল পাওয়া যায়। তোমার কষ্ট CFCFT sig sifq grr giştriệ3 (5, Self-inflicted Suffering দিয়ে শুধু তাকেই ঘায়েল করা যায়। ও অস্ত্ৰ গাৰ্হস্থ্য নীতিতে চলে, রাজনীতিতে নয়। আমাদের কেষ্টঠাকুর ঐ অস্ত্রটির ব্যবহার বেশ ভাল করেই জানতেন । অনেকবার তঁাকে বলতে হয়েছিল যে, মানিনীর মানভঞ্জন না হলে তিনি র্তার বঁাশীটি ভেঙ্গে যমুনার জলে ভাসিয়ে দেবেন, আর গলায় পীত-ধড়া বেঁধে কদমগাছের ডালে ঝুলে পড়বেন । কিন্তু কখনও তিনি বলেছিলেন যে, শ্ৰীমতীর মানভঞ্জন না হলে কঠোর অনশন ব্ৰত অবলম্বন করে চারিদিকে ডাক্তারকবিরাজের ভিড় লাগিয়ে একটা হৈ-চৈ আরম্ভ করবেন-তা তো কোথাও দেখতে পাই নে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় তিনি অহিংসার ভাণ করে একবার বলেছিলেন বটে যে অস্ত্ৰ-ধারণ করবেন না । কিন্তু ভীষ্মের বাণে জর্জরিত হয়ে অৰ্জ্জুন যখন হঁাপিয়ে উঠেছিলেন, তখন রথের চাকা নিয়ে ভীষ্মকে তাড়া করে যেতেও তঁর বিলম্ব হয় নি। নিরস্ত্র হয়ে যে যুদ্ধে সারথ্য করাও সম্ভব নয়, হয়তো তিনি সেইটাই দেখাতে চেয়েছিলেন । R