পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি স্থান আর পূজার প্রণালী যে আলাদা হবে-এ-ত খুবই স্বাভাবিক । এতে আপত্তি করবার কি আছে । এই ছিল আমাদের ছেলেবেলার মনোভাব। তারপর একটু বড় হয়ে যখন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ভাবতে আরম্ভ করলুম, তখন শুনলুম-যত মত তত পথ-সব সাধন-প্ৰণালীর গন্তব্যস্থান এক। আরও শুনলুম-পরমহংস দেব। যেমন শাক্ত, বৈষ্ণব প্রভৃতি সব সম্প্রদায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন, তেমনি মুসলমানের কাছে দীক্ষা নিয়ে মুসলমানীপস্থায় সাধন করেও সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, মুসলমান, খৃষ্টান—এদের বাইরের আচার-ব্যবহার আর সাধন-প্ৰণালীর মধ্যে যতই পার্থক্য থাকুক, এদের সকলেরই ধৰ্ম্ম যে এক মানবন্ধৰ্ম্মেরই ভিন্ন ভিন্ন দিক-এ ধারণাটা আমাদের মনে ছেলেবেলা থেকেই বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল। হিন্দু-মুসলমানের সম্বন্ধের ভিতর কোথাও যে একটা জটিল সমস্যা আছে, তা’ কখনও মনে হয় নি । কিন্তু এই সমস্যার যে আর একটা দিক আছে তা’ প্ৰথম টের পেয়েছিলুম পাঞ্জাবে গিয়ে। আর সে সমস্যাটা ধৰ্ম্মের আবরণে আত্মগোপন করবার চেষ্টা করলেও আসলে যে সেটা রাজনৈতিক ব্যাপার, তা” বুঝতে দেরী হয় না। হিন্দুমুসলমানের ঝগড়াটা যে কি জিনিষ। তা' পাঞ্জাবে না এলে ভাল করে বোঝা যায় না । মোগল-পাঠান সকলেরই ঠেলা সামলাতে হয়েছে পাঞ্জাবের হিন্দুকে । লাঠালাঠিটা ¢ክም