পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি অনেকদিন ধরে চলেছে; সুতরাং শক্ৰতাও বেশ পাকাপাকি রকমের হয়ে গেছে। পাঞ্জাবে বিদেশী মুসলমানদের বংশধরের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। তার উপর কতকটা গোড়ামীর জন্যে আর কতকটা নিজেদের রাজত্বের ভিত্তি পাকা করবার জন্যে অনেক মুসলমান বাদশা জোর করে হিন্দুদের মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হয়েছিল। শিখ সম্প্রদায়ের উৎপত্তির অব্যবহিত পরেই। এই বিজেতাদের প্রভাব থেকে হিন্দু সমাজকে রক্ষা করবার চেষ্টা থেকেই শিখ সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়েছিল ; আর শিখেদের হাতে যখন রাজশক্তি আসে, তখন এরা অতীত অত্যাচারের শোধ দিতেও ছাড়ে নি। পাঞ্জাবে হিন্দুমুসলমানের সম্বন্ধটা সেই অতীত ইতিহাসের জের। শিখেরা, আর পরবর্তীকালে আৰ্য্যসমাজীরা যদি পাঞ্জাবের মুসলমানদের শিখ বা আৰ্য্যসমাজী করে নিতে পারতো, তা’ হলে আজ আর হিন্দু-মুসলমান সমস্যার কথা শুনতে পাওয়া যেত না। কিন্তু লাঠির জোরে বা culture-এর জোরে শিখ বা আৰ্য্যসমাজীরা তা’ করতে পারে নি। শুধু culture-এর দিক থেকে দেখতে গেলে শিখ ধৰ্ম্মে আর মুসলমান ধৰ্ম্মে যে খুব বেশী তফাৎ আছে, তা’ মনে হয় না। যাদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, তাদের দোষ-গুণ অনেকটা আমাদের ঘাড়ে এসে পড়ে। পাঞ্জাবে হিন্দুয়ানিকে মুসলমানদের সঙ্গে লড়াই করবার জন্যে শিখ ধৰ্ম্মের রূপ 就冷