পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মনে করেন যে, শতধা বিচ্ছিন্ন হিন্দু সমাজ সঙ্ঘবদ্ধ মুসলমান সমাজকে ভেঙ্গে চুরে গ্ৰাস করতে পারবে না। তাই হিন্দু সমাজকে ভেঙ্গে চুরে এরা এমন একটা militant সমাজ গড়তে চান যা” মুসলমানদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে। আৰ্য্যসমাজের চেষ্টার ফলে হিন্দু সমাজ হয় তো একটু বদলাতে পারে, অন্ততঃ হিন্দু-সভার তরফ থেকে হিন্দু সংগঠনের চেষ্টা দেখে তাই মনে হয়। কিন্তু মুসলমান সমাজকে গ্ৰাস করে ফেলবার শক্তি যে আৰ্য্য-সমাজের আছে, তা’ মনে করবার কোন কারণ দেখতে পাই নে। কি সামাজিক হিসাবে, কি অধ্যাত্মদৃষ্টির হিসাবে আৰ্য্যসমাজী মুসলমানের চেয়ে বড় নয়। সুতরাং এই ঝগড়ার ফলে মুসলমান আর হিন্দু সমাজ দুটোই আরও সঙ্ঘবদ্ধ আর militant হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু কেউ কাউকে গ্ৰাস করতে পারবে বলে মনে হয় না । বাংলার মুসলমানদের অবস্থা একটু আলাদা। বাংলায় মুসলমান অনেক ; কিন্তু তারা প্ৰধানতঃ বৌদ্ধদের আর এ দেশের অধিবাসী হিন্দুদের বংশধর। বিদেশী মোগলপাঠানের বংশধর এখানে নেই বললেই হয় । কাজেই এখানে বাংলা ভাষা ভেঙে উর্দুর মতো একটা আলাদা ভাষার সৃষ্টি হয় নি। এখানকার হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে ঝগড়া, তা’ প্ৰধানতঃ পাঞ্জাব আর হিন্দুস্থান থেকে আমদানী করা হয়েছে। আমার মনে হয়, বাঙ্গালী হিন্দু আর বাঙ্গালী R