পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মুসলমান দু'দলের মনেই গোড়ামীর ভাবটা একটু কম। দু’দলই যদি বাইরের প্রভাব ঠেকিয়ে রাখতে পারে, তা” হলে cultural fusion হওয়া একেবারে অসম্ভব নয় । কিন্তু আপাততঃ কিছুদিন ইংরাজী রাজ্যশাসন-নীতির প্রভাবে ভেদের মাত্ৰাটা একটু বেড়েই চলবে মনে হয়। আপাততঃ যতদূর দেখতে পাচ্ছি তাতে মনে হয় যে, যদি মুসলমান ধৰ্ম্ম বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের মতো ভারতবর্ষ থেকে চলেও যায়, তা’ হলেও হিন্দু সমাজের উপর বেশ একটা ছাপ রেখে যাবে। শতধাবিচ্ছিন্ন হিন্দু সমাজ যদি মুসলমানদের প্রভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ওঠে, তা’ হলে হয়ত একদিন মুসলমান সমাজকে নিজের অঙ্গীভূত করে নিতে পারে। কিন্তু সে শক্তি অর্জন করতে হিন্দু সমাজের বর্তমান রূপ অনেকটা বদলাতে হবে । নিজেকে সে রকম পরিবৰ্ত্তিত করবার শক্তি বৰ্ত্তমান হিন্দু সমাজের আছে কি না জানি নে। ভারতবর্ষ যদি স্বাধীন হয়, আর অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন এমন কোন মহাপুরুষের যদি আবির্ভাব হয়, যিনি হিন্দু সমাজকে আবার নূতন ছাঁচে ঢালতে পারবেন তাহলে এই দুটাে সমাজ মিশে গিয়ে একটা নূতন সমাজ গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু এখন দু’দলের যে রকম অবস্থা তাতে কেউ কাউকে গ্ৰাস করবার চেষ্টা, বিড়ম্বন বলেই মনে হয়। আমার মনে হয়, অন্ততঃ বাংলা দেশের হিন্দুদের এখন নিজেদের সমাজটাকে শক্ত করে গড়ে তোলবার চেষ্টা, و