পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভবঘুরের চিঠি

যে, অযোধ্যাজীতে হন্মান দাস বাবাজীর আখড়ায় ঠিক ঐ রকম আর একটি রুদ্রাক্ষ আছে। বাবাজী না কি তীর্থভ্রমণ করতে করতে আবু পর্ব্বতের এক নিভৃত গুহায় বশিষ্ঠ মুনির আশ্রমে উপস্থিত হন। সেখানে বাবাজীর সেবায় তুষ্ট হয়ে বশিষ্ঠ ঠাকুরের এক চেলা বাবাজীকে সেই রুদ্রাক্ষটি বকশিশ করেন। প্রতি সোমবার আর শুক্রবার পাঁচ পোয়া দুধ দিয়ে রুদ্রাক্ষটির পূজা করতে হয়। আর তার এমনি মহিমা যে, যদি কোন ছোটজাত সেটিকে চোখে দেখে তো চৌদ্দ দিন, হয় চৌদ্দ মাস, খুব জোর চৌদ্দ বৎসরের মধ্যেই সে মুখে রক্ত উঠে মারা যাবে!  পাশেই একজন গুজরাতী ঊর্ধনেত্র হয়ে গুন্ গুন্ করে ভজন গান করছিলেন। হিন্দুস্থানীর কথা শেষ হতে না হতেই তিনি বললেন—“দেখলে! তবু আজকালকার লোকে ধর্ম্ম-কর্মে বিশ্বাস করতে চায় না!”  গাড়ী সেই সময় একটা ষ্টেশনে এসে লাগতেই ছেঁড়া কাপড় পরা একটি জীর্ণ শীর্ণ লোক গাড়ীতে ঢুকে চুপ করে এক পাশে দাঁড়াল। আমাদের মালাধারী গুজরাতী পুরুষ তাকে নিজের ভাষায় কি জিজ্ঞাসা করলেন বুঝতে পারলুম না। বেচারা উত্তর করলে—“মাড়।” তারপর ভোজবাজীর মতো যে অপূর্ব্ব ব্যাপার ঘটলো, তা’ না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দু’জন গুজরাতী তড়াক করে লাফিয়ে একেবারে গাড়ীর বাইরে গিয়ে পড়লেন। তাঁদের মাথার পাগড়ীগুলো