পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ভায়া, কথায় বলে “ঢাকের বাঢ়্যি থামলেই মিষ্টি।” আমারও তেমনি মনে হয়। এই নির্বাচনী-হল্লা শেষ হলেই মঙ্গল । কাদের দল কত ভারী তা” ঠিক করবার জন্যে গত কয়েক মাস ধরে চীৎকার, গালাগালি, মাৱামারি, মাথা ফাটাফাটি, এমন কি খুনোখুনি পৰ্য্যন্ত হয়ে গেছে। সকলেই উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, ভোটের চোটে তাদের দলকে জয়যুক্ত করতে পারলেই ন্যায়ধৰ্ম্মের মৰ্য্যাদা রক্ষা হবে ; দেশের বুড়ো হাড়ে একটা নবীন বসন্তের হাওয়া লাগবে ; রোগ, শোক, জরা, অকাল-মৃত্যু সব দেশ ছেড়ে পালাবে। এক কথায় “মধুর বহিবে বায়ু, ভেসে যাব রঙ্গে।” এখন নির্বাচন শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই দেখতে পাচ্ছি-‘কেউ হাসিছেন, কেউ কঁাদিছেন, কেউ পাড়িছেন গাল।” যারা হেরেছেন তঁরা প্ৰায় সকলেই বলছেন যে, অপর পক্ষের গুণ্ডামীর জন্যেই তঁরা জিততে পারেন নি। ভদ্রভাবে নির্বাচন হলে তঁরা একবার দেখিয়ে দিতেন তামাসা । কিন্তু শত্রুপক্ষকে সে তামাসা দেখাবার সুবিধে আর র্তাদের হয় নি। কারও বা গাড়ী পুড়ে গিয়েছিল ; অনেককে রক্তাক্ত দেহে &s