পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি দুটো যে এক জিনিষ নয়, এ কথাটা তারা অনেক সময় ভুলে ষান, আর নির্কিবচারে। ষ্ট্যালিনের পররাষ্ট্র-নীতি সমর্থন করতে গিয়ে তাদের নেতারা এমন কতকগুলি কাজ করে ফেলেছেন, যা৷” এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না । ফলে শুধু কংগ্রেসী মহলে নয়, দেশের জনসাধারণের কাছেও র্তারা অপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ; আর তারই ফলে তাদের নির্বাচনে পরাজয় ঘটেছে। এই নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে যখনই তঁদের সংঘর্ষ হয়েছে, তখনি তঁরা পাকিস্থানীকায়দা অবলম্বন করতে ইতস্ততঃ করেন নি ; এবং সত্যের খাতিরে এ কথাও স্বীকার করতে হয় যে, কংগ্রেসী দলও যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তার সঙ্গে মহাত্মাজীর অহিংস আদর্শের খুব ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ নেই। w এই ভ্ৰাতৃদ্রোহ দেখে আমার হাসির চেয়ে কান্নাই বেশী পায় । কেবল জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়-“আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিনু হায় ?” যে দেশ স্বাধীন, যেখানে দেশের লোকের প্রতিনিধিরা সত্য সত্যই দেশের ভাগ্যনিয়ন্তা, সেখানে নির্বাচনের একটা মূল্য আছে। কিন্তু এখানে যে গোড়ায় গলদ । দেশের অধিকাংশ লোকেরই নির্বাচনের সঙ্গে কোন সম্বন্ধ নেই। যে কয়জনের আছে, তাদের প্রতিনিধিরা ব্যবস্থাপক-সভায় গিয়ে কি করতে পারবেন বা না পারবেন, তা” স্থির করে দিয়েছেন আমাদের বিদেশী মনিবেরা। খোঁটায় বঁধে গরু কতদূর পর্য্যন্ত মুখ Case