পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি বাড়িয়ে ঘাস ছিড়ে খেতে পারবে, তা স্থির করে দিয়েছেন। আমাদের বিদেশী জমিদারবাবুরা। তঁরা বলে দিয়েছেন যে, এমনি করে খুটে-খুটে ঘাস খেতে খেতেই আমরা নাকি সারা মাঠে চরে বেড়াবার অধিকার পাবো। আর সেই আশায় উৎফুল্ল হয়ে আমরা আরম্ভ করেছি। পরস্পরের মধ্যে গুতোগুতি । হায়রে কপাল ! নিৰ্ব্বাচন আরম্ভ হবার আগে কংগ্রেসের অনেক নেতা বলেছিলেন যে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তাদের একমাত্র লক্ষ্য হবে ইংরেজকে দেশছাড়া করা । নির্বাচনে জয়লাভ করার সঙ্গে ইংরেজকে দেশ ছাড়া কারাবার সম্বন্ধটা যে কি, তা’ আমি এখনও ভাল বুঝতে পারি নি। মহাত্মাজী কিন্তু বলেছিলেন যে স্বাধীনতা অর্জনের উপায় হিসাবে নিৰ্ব্বাচনী জয়লাভের উপর তার তেমন আস্থা নেই। নির্বাচনের ফলে কংগ্রেসী সদস্যেরা যদি মন্ত্রীর পদ দখল করতে পারেন, তা” হলে কংগ্রেসের গঠনমূলক কাজে সাহায্য করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে। নির্বাচনে যোগ দিয়ে ঐটুকুই লাভ। কিন্তু অন্যান্য কংগ্রেসী নেতাদের মুখে মহাত্মাজীর এই কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই নি । যাই হোক, নির্বাচনে তো কংগ্রেসের জয় জয়কার হয়েছে। এখন এই জয়লাভের ফলে ইংরেজরা সুশীল আর সুবোধ বালকের মতো দেশ ছেড়ে যায় কি না, তাই দেখবার জন্যে আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি । লীগের কৰ্ত্তারা তো বলেই দিয়েছিলেন যে, মন্ত্রিত্বের ܕ2