পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি নেশন’ কথাটাকে এই যুক্তি-তর্কের ভিতর টেনে না। আনাই ভাল। কথাটা একে বিদেশী; তার উপর তিন চারশো বছর আগে এর কোন অস্তিত্বই ছিল না । ইউরোপের জাতগুলো আগে রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিত না-তখন সারা ইউরোপই ছিল খ্ৰীষ্টীয় সমাজ, সেইটাই ছিল তাদের পরিচয় । তার পর নানা কারণে পোপের প্রভাব কমে গেল । ভিন্ন ভাষাভাষী জাতগুলো আস্তে আস্তে দানা বেঁধে নিজেদের জন্যে আলাদা আলাদা রাষ্ট্র গড়ে তুললে ; আর তারাই হয়ে দাড়ালো আলাদা আলাদা নেশন । এই ভিন্ন ভিন্ন নেশনগুলো নিজেদের মধ্যে লড়াই করে নখদন্ত শানিয়ে রেখেছে ; আর গত তিনশ’ বছর ধরে তারাই সারা পৃথিবীময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে । আমাদের দেশে একটা বিরাট হিন্দু সমাজ আছে ; কিন্তু নেশন বলতে যা বুঝায়, সমাজ জিনিষটা তা নয়। বাইরে থেকে মোগল পাঠান এ দেশে এসে হিন্দু সমাজের খানিকটা ভেঙ্গে দিয়ে এখানে একটা মুসলমান সমাজ গড়ে তুলেছে ; কিন্তু ইউরোপে খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মের প্রভাবে যেমন একটা খ্ৰীষ্টান নেশন গড়ে ওঠে নি, মুসলমানদের ভিতরও তেমনি ধৰ্ম্মের প্রভাবে একটি মুসলমান নেশন গড়ে ওঠে নি। বোগদাদের খলিফাদের আমলে মুসলমান ধৰ্ম্মের প্রভাব খুব ছড়িয়ে পড়েছিল ; কিন্তু আজ খলিফার অন্তৰ্দ্ধানের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান সমাজ নানা নেশনে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তুর্ক, ጫቑ