পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি তুমি হয়ত জিজ্ঞাসা করবে-হিন্দুসমাজের ভিতর তো DD D BBBBDL DL DD DDD BBDDBSKKBBD BBBDS তা' হলে হিন্দুসমাজের খানিকটা অংশ যদি মুসলমানী সাধনপ্ৰণালী গ্ৰহণ করে, তা’ হলে তাদের ভিতর স্বতন্ত্র নেশন গড়বার ইচ্ছা আসে কোথা থেকে ? ঠিক এই কথাই আমি একবার আমার একজন মুসলমান বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলুম। আমি বলেছিলুম—“আচ্ছা, ভাই, আজ যদি আমি তোমার কাছে কলমা পড়ে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষা নিই, তা’ হলে সেই কলম পড়বার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে দেশী নাম ছেড়ে দিয়ে একটা আরবী-ফার্সি নাম নিতে হবে কেন ? আমার নেঙ্গ শিরের উপর একটি তুর্কী-ফেজ চড়াতে হবে কেন ? আর আমার সনাতন ধুতি-চাদর ছেড়ে আমাকে একটা পা’জামা বা আঠারোটা বোতামওয়ালা আলখেল্লাই পরতে হবে কেন ?” বন্ধুটি শুধু হেসেছিলেন ; কোন স্পষ্ট জবাব দেন নি। এখন বেশ দেখতে পাচ্ছি যে, মুসলমান হওয়া মানে শুধু একটা নূতন সাধন-প্ৰণালী গ্ৰহণ করা নয়। যে দেশে ঐ সাধন প্ৰণালীর জন্ম সে দেশের আচার-ব্যবহার, এমন কি ভাষা পৰ্য্যন্ত যথাসম্ভব গ্ৰহণ করে নিজের পুরাতন সমাজকে অস্বীকার করা। আমাদের নেটিভ খ্ৰীষ্টানেরা যেমন ফিরিঙ্গি সেজে পেণ্টালুন পরে, আর ভাঙ্গাভাঙ্গা ইংরেজীতে ‘হোমো’র গল্প করে-এ-ও কতকটা তাই। বিজিত দেশে নিজেদের দল বাড়াবার জন্যে মোগল ዓ¢