পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বেচারাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন। যুধিষ্ঠিরের তখন তৃষ্ণায় ছাতি ফাটছে। শাস্ত্ৰচৰ্চ-উপযোগী মেজাজ একেবারেই নয়। কিন্তু করেন কি ? সরোবরের তীরে যা দেখলেন তাতে তার চক্ষু স্থির হয়ে গেল। যে বৃকোদরের হুঙ্কারে পাহাড় কেঁপে উঠতো, তঁর মুখে আর টু শব্দটি নেই। তিনি প্ৰকাণ্ড একজোড়া গোফের উপর কাদা লাগিয়ে সরোবরের তীরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন। সব্যসাচী অৰ্জ্জুনের হাত থেকে গাণ্ডীব একেবারে ছিটুকে পড়েছে, তৃণভ্ৰষ্ট পাশুপত অস্ত্রের উপর একটা কোলাব্যাঙ বেশ আরামে বসে চক্ষু বুজে সঙ্গীত-আলাপ করছে। নকুল, সহদেবের তখন ফুটন্ত ফুলের মতো মুখ দু’খানি একেবারে কালচে মেরে গেছে। যুধিষ্ঠিরের প্রাণটা ভ্ৰাতৃস্নেহে কেঁদে উঠলো। ধৰ্ম্মরাজের পরীক্ষায় ফেলা হয়ে গেল বলেই কি অমন শূরবীরের মতো ভাইগুলোকে প্ৰাণে মারতে হয়! যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে সহানুভূতিতে ফুলে আমার বুকখানা যেমনি ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লে, অমনি সঙ্গে সঙ্গে প্ৰদীপটাও গেল নিভে । শূন্য বিছানায় শুতে যাবারও বিশেষ প্ৰলোভন ছিল না। আর মনটাও ধৰ্ম্মরাজের অবিচারে একটু খারাপ হয়ে গেছলো। তাই চুপ-চাপ করে সেইখানেই পড়ে রইলুম। 尊 হঠাৎ মনে হলে আমার পিঠে যেন ছপাং করে একগাছা ዓbም