পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি “মহারাজ কিন্তু আপনার পূজোয় এতটা রক্তারক্তি কি ভাল হলো ?” ধৰ্ম্মরাজ আমার টিকিতে আর একটা হেঁচাক মেরে বললেন-“বাবা, আমি তো তোমাদের কংগ্রেস ক্রীডে এখনও সই করি নি। আর তোমাদের দেশের চাল-কলার নৈবেদ্যের উপর নির্ভর করে যদি আমাকে বঁাচতে হতো, ত’ হলে ভগবান আমাকে অমর কোরে সৃষ্টি করলেও আমাকে এতদিন মরে ভূত হয়ে যেতে হতো। তোমরা আমার বকরূপটিকেই চিনেছ বলে সবাই বকধাৰ্ম্মিক সেজে আলোচলের উপর দু’টো ফুল ফেলে দিয়ে কাজ। সারতে চাও। কিন্তু আমি আমার পাওনা-গণ্ড সুদে-আসলে আদায় করে নিতে ভুলি নে। তোমরা মরতে ভয় পাও বলে আমি তো আর মারতে ভয় পাই নে । তোমরা অহিংসার দোহাই দাও বলেই আমাকে ম্যালেরিয়া, বসন্ত, কলেরা আর দুর্ভিক্ষের রূপ ধরে নিজের হিসাব বুঝে নিতে হয়।” কথাগুলো একটু বঁকা রাস্তায় চলছে দেখে আমি তাড়াতাড়ি ওগুলো পালটে নেবার জন্য জিজ্ঞাসা করলুম“প্ৰভুপাদ! ইউরোপে তো আপনার যাতায়াত আছে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু যুধিষ্ঠির মহারাজের সঙ্গে দেখা করবার পর আপনি কি এদেশে আর আসেন নি ?” ধৰ্ম্মরাজ বললেন-“দেখ, পঞ্চপাণ্ডবের মহাপ্ৰস্থানের পর। প্ৰায় হাজার বৎসর এদেশে আসি নি। তারপর যখন ity