পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি আমি জিজ্ঞাসা করুলুম-তাই তো পণ্ডিতজী ; চারি দিকে যখন গণ্ডগোল, তখন এ রাজ্যে সুখী কে ? কৌটিল্য একটু হেসে উত্তর দিলেন-ধ্বংসের মধ্যে যারা নূতন সৃষ্টির বীজ দেখতে পাচ্ছে তারাই সুখী। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলুম—এই নূতন সৃষ্টির পন্থা কি, পণ্ডিতজী । কৌটিল্য একটু চিন্তিত হলেন। শেষে বললেনদেখুন, আমি অনেক ভেবে দেখেছি ; পুরাতন ভিত উপড়ে ফেলে আবার নূতন করে গোড়াপত্তন করা ছাড়া আর উপায় নেই। দেশে স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ ক্ষত্ৰিয় আর নেই। অর্থহীন সংস্কারের চাপে প্ৰকৃত ধৰ্ম্ম নষ্ট হতে বসেছে। দ্রোণাচাৰ্য্য যাদের নিষাদ বলে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন, গুরুদক্ষিণা গ্রহণের ভান করে তিনি যাদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কেটে নিয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গ করে রাখবার সংকল্প করেছিলেন, আমি সেই শূদ্ৰকেই সংস্কারপূত করে রাজা করে তুলবো, ক্ষত্ৰিয়ের সিংহাসনে বসাব । দেশকে তোলবার ঐ এক পস্থা। কৌটিল্যকে আশীৰ্ব্বাদ করে ফিরে এলুম। দেখলুম, তখনও ভারতে প্ৰকৃত ব্ৰাহ্মণের অভাব হয় নি।” খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে জিজ্ঞাসা করলুম-“তারপর এদেশে কখনও আপনার পদধূলি পড়ে নি ?” ধৰ্ম্মরাজ বললেন-“এসেছিলাম বটে, কিন্তু ব্যাপার দেখে এদেশে চোকবার আর প্রবৃত্তি হয় নি। দেখলুম-ভারতের ኪዎ(2