পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি দরজার কাছে মহম্মদ ঘোরী তার দেড় হাত লম্বা দাড়ি নিয়ে উকি-বুকি মারছে ; আর রাজপুতেরা খুব বড় বড় পাগড়ি বেঁধে, কপালে সিঁদুরের ফোটা পরে, ধুম ধাড়াক্কা করে নিজেদের মধ্যে ফুৰ্ত্তিসে লাঠালাঠি করতে লেগে গেছে। ভগবান যাকে মারেন, তাকে যে আগে থেকেই অন্ধ করে দেন, তা’ স্পষ্টই দেখতে পেলুম। বুঝলুম, কৌটিল্যের নূতন সৃষ্টির কল্পনা কৌটিল্যের সঙ্গে সঙ্গে ভেসে গেছে।” ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলুম-“মোগল বাদশাদের আমলে কখনও এখানে এসেছিলেন কি ?” ধৰ্ম্মরাজ বললেন—“এসেছিলুম একবার। আলমগীর বাদশা তখন বুড়ো বাপের মৃত্যু কামনা করতে করতে দাক্ষিণাত্য থেকে দিল্লীর দিকে সবেগে ছুটে চলেছেন। হজরতজী যে রকম প্ৰচণ্ড ধাৰ্ম্মিক, তাতে মোগল বাদশাদের তত্তে যে ঘুণ ধরেছে তা’ আর বুঝতে বাকী রইল না। ভঁাকে আর কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবার প্রয়োজন বোধ করলুম না। তখন মোগল-দরবারে একজন মারাঠী যুবকের কথা অল্পবিস্তর শোনা যাচ্ছিল। আমার মনে হলো, একবার ছোকরাকে দেখে আসি। সহাদ্রির পাদদেশে এসে দেখলুম, একজন দীর্ঘকায় বীরলক্ষণ-চিহ্নিত উন্নত ললাট গৌরবর্ণ, পুরুষ কল্পনার বলে ভবিষ্যৎ ভারতের সৃষ্টি করছেন, আর মহাশক্তি র্তাকে আশ্রয় করে সমগ্ৰ মহারাষ্ট্রকে সঞ্জীবিত করে। তুলেছেন। বুঝলাম। এই শিবাজী। অনেক দিন পরে একটা r8