পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মাড়ের দুৰ্দশা দেখে মনে হলো, পাণিপথে মারাঠারা জিতলে । ভারতে বৰ্গীদের রাজ্য হতো বটে, কিন্তু তা’ হলে আজ এই ক’জন ধাৰ্ম্মিক পুরুষ মিলে মাড় বেচারাকে ধাক্কা মেরে গাড়ী থেকে ফেলে দিতো । ন্যায়াধীশ রামশাস্ত্রীও তার সুবিচার করতেন কি না সন্দেহ। আর এ রোগ কি শুধু বগীদের ? বাংলা, মাদ্রাজ, হিন্দুস্থান-এক চেয়ে আর সরেস। এ ব’লে আমায় দেখা ও ব’লে আমায় দেখা । আলমোড়ায় এক সাধুদের মঠে একবার বসে আছি, এমন সময় এক পাদরী সাহেব তঁর কতকগুলি দেশী-শিষ্য সমেত সেখানে এসে উপস্থিত । তাদের মধ্যে একটি চোদ-পনেরো বৎসরের ছেলে ছিল । সে যে কি মোহে পড়ে খ্ৰীষ্টান হয়েছে, ত’ জানিবার জন্যে আমার ভারি কৌতুহল হলো। তাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে এ-কথা ও-কথার পর জিজ্ঞাসা করলুম-“বাবা তোমার বাড়ীতে কি মা-বাপ নেই ? তুমি ধৰ্ম্মের কি বুঝেছি যে হিন্দুধৰ্ম্মকে মিথ্যা বলে ছাড়তে গেলে ?” ছেলেটি একটু স্নান হাসি হেসে বললে-“ধৰ্ম্মের আমি কিছুই জানিনে । আমার মা-বাপাই আমাকে খ্ৰীষ্টান করে দিয়েছে। প্ৰায় বছর। দুই হলো আমি একবার বড়দিনের সময় পাদরী সাহেবদের আডিডায় বেড়াতে যাই। পাদরী সাহেবরা আমায় আদর করে খাবার খেতে দেন। খেয়ে দেয়ে আমি বাড়ী ফিরে এসে মাকে বললুম-মা, আমি পাদরী সাহেবদের বাড়ী খানা,