পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি খাটি মানুষ দেখে আমারও আনন্দ হলো। আমি আশীৰ্ব্বাদ করে তঁাকে আমার চারটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলুম। শিবাজী বললেন-মহারাজ ! মুষ্টিমেয় তুর্ক এসে ভারতের ক্ষত্ৰিয়শক্তিকে পদানত করে রেখেছে, এই একমাত্ৰ বাৰ্ত্তা। যাদের জোরে তুর্ক সিংহাসনে বসে আছে, তারা একবার স্বপ্নেও ভাবে না যে সংঘবদ্ধ হলে তারাই দেশের অধীশ্বর হতে পারে। -এর চেয়ে আর আশ্চৰ্য্য কি ? এ মোহ যে ভেঙ্গে দিতে পারে সেই সুখী। আমি মহারাষ্ট্রের শক্তি উদ্ধৃদ্ধ করে তাকে সমগ্ৰ ভারতের কৰ্ত্ত করে দেবে-এই আমার পস্থা । ধৰ্ম্মরাজ বললেন-আমি যা” ভয় করেছিলাম, তাই হলো । পন্থার কথাটা শুনেই আমার মনে খটুকী লেগেছিল। যে, হয় তো মারাঠার রাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে, কিন্তু থাকবে না ! হলোও তাই। বৰ্গীর তরবারি একবার বিদ্যুতের মত সকলকার চোেখ ঝলসে দিয়েই আবার অন্ধকারে ডুবে গেল।” অন্ধকারে ঠিক বুঝতে পারলুম না। কিন্তু মনে হলো যেন ধৰ্ম্মরাজের বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেল। আমি ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করলুম“তারপরে আর এদেশে আসেন নি, বোধ হয় ।” ধৰ্ম্মরাজ বললেন-“না। এখনও আসবার ইচ্ছা ছিল না। তবে চিত্ৰগুপ্ত খাতপত্র দেখে হিসাব করে বললে যে, ভারতের প্ৰায়শ্চিত্তের দিন না কি প্ৰায় শেষ হয়ে এসেছে, তাই একবার 沙象