পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি তোমাদের দেখে-শুনে যেতে এলাম!! আচ্ছা, তুমিই আমার প্রশ্নের উত্তর দাও দেখি-বাৰ্ত্তা কি ?” ভয়ে আমার হাত-পা পেটের ভিতর ঢুকে গেল। আমি বললাম-“দোহাই ধৰ্ম্মরাজ ; আমি রাজারাজড়া, নই ; আর ওয়াভেলী কায়দার প্রসাদাৎ আমার লাট-পরিষদের সদস্য হবার সম্ভাবনাও নেই। আমি নিতান্তই গরীব ব্ৰাহ্মণ । শেষে আপনার পরীক্ষায় ফেলা হয়ে এই বৃদ্ধ বয়সে কি ব্ৰাহ্মণীকে অনাথা করবো ?” ধৰ্ম্মরাজ হেসে বললেন—“আরে, ভয় নেই, ভয় নেই ! তোমরা কি আর বেঁচে আছ যে তোমাদের আবার মারবো ?” তখন আমি সাহস পেয়ে বললাম-“হা, তা বটে ! আর আপনি যখন নাছোড়বান্দা তখন আমার বিদ্যের দৌড়টাই দেখে যান । এদেশের এখন প্ৰধান বাৰ্ত্তা হচ্ছে এই, দেশের সব মাতব্বর পুরুষেরা স্থির করেছেন যে, কোন রকমে একবার নূতন লাট পরিষদের সদস্য হয়ে জাপানী যুদ্ধের খরচটা জুগিয়ে দিতে পারলেই চালের দর। আর কাপড়ের দর একদম নেমে যাবে, ছেলেদের পেটের পিলে সেরে যাবে, সাদায়-কালায় গলা ধরাধরি করে নৃত্য করতে থাকবে, ম্যালেরিয়া, কলেরা, বসন্ত সব দূর হয়ে যাবে। ; এক কথায় ভারতে সভ্য যুগের প্রথম লক্ষণ দেখা যাবে।” ধৰ্ম্মরাজ খুন্সী হয়ে বললেন—“বেশ, বেশ । এবার দ্বিতীয় -প্রশ্নের উত্তর দাও-সুখী কে ?”