পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি আমি বললাম-“ধৰ্ম্মরাজ, এ প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা। এদেশে সুখী দুই দল-মাড়োয়ারী ব্ৰাদাস আর ভুলাভাই কোম্পানী ।” তখন তৃতীয় প্রশ্ন হলো-“আশ্চৰ্য্য কি ?” আমি ভয়ে ভয়ে বললুম—“হুজুর, আমরা যে এই বুদ্ধি নিয়ে এখনও বেঁচে আছি, এইটাই আমার কাছে সব চেয়ে আশ্চৰ্য্য বোধ হচ্ছে।” ধৰ্ম্মরাজ পূর্ণ সম্মতি জ্ঞাপন করে মাথা নেড়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন-“আচ্ছা, এখন পন্থা কি ?” আমি ধৰ্ম্মরাজের পা দু’খানা জড়িয়ে ধরে বললুম“হুজুর, ঐট আমার মাফ করতে হবে। পন্থা বাতলে দিতে গিয়ে কি বলতে কি বলে ফেলবো। আমি আর এ বয়সে ঠ্যাঙ্গানি খেতে পারবে না। আমায় রামে মারলেও মেরেছে ; রাবণে মারলেও মেরেছে । উত্তর না দিলে আপনার হাতে মারা পড়বে। আর উত্তর দিলে আবার কালই আমায়-” হোঃ হেঃ হোঃ শব্দে একটি বিরাট হাস্য করে ধৰ্ম্মরাজ আমার টিকিটা ছেড়ে দিলেন। দিতেই ঠক করে টেবিলের উপর আমার মাথাটা ঠুকে গেল। 举 染 হোঃ হেঃ হোঃ ! চেয়ে দেখি, আমার বড় নাতি সুমুখে দাড়িয়ে হোঃ হেঃ করে হাসাচে । ኳ”ዓ