পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলেন, তা”তে সন্ন্যাসীদের মধ্যে যিনি বয়সে ছোট, তিনি খুব গম্ভীর হবার চেষ্টা সত্ত্বেও ফিক করে হেসে ফেলে উত্তর দিলেন-“কি করি, পণ্ডিতজী, আমাদের তো ইচ্ছা যে বনে গিয়ে জপ-তপ করি, কিন্তু সংসারীর কাজ সংসারীরা করে না ; তাই আমাদের আসতে হয়েছে।” পণ্ডিতজীর মতে কিন্তু শাস্ত্রীয়-ধৰ্ম্মবুদ্ধির সঙ্গে কথাটা খাপ খেলো না । তিনি সন্ন্যাসীদের পরকালের জন্য বিষম চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন-“কিন্তু মহারাজ, শাস্ত্ৰে যে বলে, কৰ্ম্মত্যাগ করে সন্ন্যাসী হবার পর ফের কৰ্ম্ম করলে নিরায়গামী হতে হয়।” সন্ন্যাসী হয়ে তো শাস্ত্ৰবাক্য অস্বীকার করা চলে না। অথচ সন্ন্যাসী হলে কি হয়, কলকাতার ছেলে তো বটে ! আমাদের ছোট সন্ন্যাসী মহারাজ তাই উত্তর দিলেন-“তা হবে বৈ কি, পণ্ডিতজী ! শাস্ত্র তো মিথ্যা হবার নয় । আপনাদের যখন সাহায্য করতে এসেছি, তখন নরকে যাওয়া ভিন্ন আর গতি কি ? দুৰ্ভিক্ষপীড়িত লোকদের দু’টো খেতে দিতে এসেছি বলে ভগবান যদি নরকই ব্যবস্থা করেন, তো যাওয়াই যাবে।” পণ্ডিতজী, কিন্তু তুষ্ট হলেন না। কলিকালে শাস্ত্রের অপমান দেখে ক্ষুন্ন মনে বিড়-বিড় করতে করতে চলে (*व् ! আর একবার ঘুরতে ঘুরতে আমার এক ভবঘুরে বন্ধুর সঙ্গে একজন প্ৰসিদ্ধ হিন্দুস্থানী সন্ন্যাসীর আডডায় গিয়ে o