পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি উপস্থিত। বাংলায় তখন স্বদেশীর নূতন ধূম লেগে গেছে। সন্ন্যাসীর কাছে অনেক গৃহস্থ লোকের সমাগম হয় দেখে আমার বন্ধুটি সন্ন্যাসী ঠাকুরকে সবিনয়ে বললেন-“মহারাজ! দেশী কাপড়-চোপড় ব্যবহার করার দিকে এসমস্ত লোককে যদি একটু দৃষ্টি রাখতে বলেন, তো সমাজের অনেক মঙ্গল হয় ।” সন্ন্যাসী মহারাজ পরম বিজ্ঞ ভাবে মুখখানি গম্ভীর করে বললেন-“ও সমস্ত অনিত্য বস্তুর দিকে এদের প্রেরণা দিয়ে কি লাভ ?” বন্ধুটি অদূরে পূরি, জিলাপি, রাবাড়ি প্রভৃতি ভূরিভোজনের ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বললেন“মহারাজ ! দেশের সব ব্যবসা-বাণিজ্যই যদি বিদেশীর ঠেলায় মাটি হয়, তা’ হলে কিছুদিন পরে লোকে আর আপনাদের ও রামক তোফা সেবার ব্যবস্থা করে উঠতে পারবে না।” বলা বাহুল্য, যুক্তিটা ঠিক শাস্ত্রীয় না হলেও সন্ন্যাসী ঠাকুরের প্রাণে লেগেছিল। আসল কথা কি জান, সেই যে কবে শঙ্করাচাৰ্য্য বলে। গিয়েছেন যে, জ্ঞান আর কৰ্ম্মের সমন্বয় হবার জো নেই তারই জ্যের আজ পৰ্য্যন্ত চলছে। যুক্তির কসরতে তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, জগৎটা একদম বন্ধ্যা-পুত্রের মতো সাফ মিথ্যা ! যেহেতু ব্ৰহ্মই সত্য, আর একমাত্র সত্য, সেহেতু জগৎটা মিথ্যা হতে বাধ্য! জ্ঞানী-সমাজে এই রকম ভাবে অপমানিত হবার পর জগৎটার উচিত ছিল, SS