পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ব্যাখ্যা করে মহাপ্ৰভু শ্ৰীচৈতন্যকে বুঝিয়ে দিলেন যে, ব্ৰহ্ম নিরাকার, তখন শ্ৰীচৈতন্য শুধু জগতের দিকে দেখিয়ে বৃদ্ধ পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-“ব্ৰহ্ম যদি নিরাকার, তো এ সব আকার কার?” অমূৰ্ত্তই যে রূপের মধ্যে মূৰ্ত্ত হয়ে অনন্ত ভাবে আপনার লীলা কেন্দ্র গড়ে তুলেছে-এইটাই বাঙ্গালী শাক্ত ও বৈষ্ণব উভয়েরই প্ৰাণের কথা। রূপকে সে বাদ দিতে চায় না, ছোটে ফেলতে চায় না। প্ৰকৃতিকে পাশ কাটিয়ে সরে পড়তেও তার প্রবৃত্তি নেই। নিত্যানন্দের পর থেকে বাংলায় শাক্ত আর বৈষ্ণব সাধনপ্ৰণালী সম্মিলিত করে যত ধৰ্ম্মসম্প্রদায় গড়ে উঠেছে, তাদের সকলেরই মধ্যে জ্ঞান, প্ৰেম আর কৰ্ম্মের বেশ একটা সমন্বয় চেষ্টা দেখা যায়। দক্ষিণাত্যে কিন্তু সাধন-প্ৰণালীগুলো মেলাবার তেমন চেষ্টা দেখা যায় না। আমার এক বন্ধু দাক্ষিণাত্য ভ্ৰমণ করে এসে বলেছিলেন-“দেখ, দক্ষিণীরা যেমন তরকারী রাধবার সময় আলু, পটল, বেগুণ সব আলাদা রাধে, এক সঙ্গে মিশিয়ে একটা তরকারী করতে পারে না, ওদের সাধন-প্ৰণালীগুলোও সেই রকম। এক A<ss of Çar ATF AT sê air-tight compartment ! ওদের দ্বারা ধৰ্ম্মের সমন্বয় হবে না ।” কথাটা ভেবে দেখবার যোগ্য বটে ! প্ৰকৃতির সঙ্গে পুরুষের, সংসারের সঙ্গে ভগবানের, কৰ্ম্মের সঙ্গে জ্ঞানের সম্বন্ধ নিয়ে বিচার অনেক দিন থেকেই চলছে। সাংখ্যকার দু’টোকে 8