ভবিষ্ণুতের दएgार्टो 08 ফল এই দাড়িয়েছে যে, এখন ব্যাপক এবং গভীর আন্তরিক বন্ধন ছাড়া কোন একটা রাষ্ট্রের পক্ষে তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা কিম্বা আত্মরক্ষা কৱা অসম্ভব হ’য়ে দাড়িয়েছে । ভারতবর্ষে আধুনিক যুগের এই সব প্রয়োজন পূরণ করবার জন্য দরকার (১) ব্যষ্টির মধ্যে গভীর আত্মীয়তাবোধ (২) জনসাধারণের মধ্যে প্রেরণা-সঞ্চারী ব্যাপক আদর্শ (৩) নেতৃবর্গের মধ্যে সুমহান দায়িত্বজ্ঞান (৪) কৰ্ম্মীদের মধ্যে প্রখর কৰ্ত্তব্যবোধ প্ৰথম এবং দ্বিতীয় প্রয়োজনের এক সঙ্গে এবং সর্বপ্রথম আলোচনা করা যাক । জনসাধারণের মধ্যে গভীর আত্মীয়তাবোধ এবং প্রেরণা-সঞ্চারী ব্যাপক একটা আদর্শ না থাকলে, তাদের সম্মিলিত করা যায় না, আর তাদের সাহায্যে কোন বড় জাতীয় কাজ করা যায় না। এই দুইটী জিনিম্নের অভাবই হ’চ্ছে ভারতবর্ষের বাৰ্ত্তমান দুঃখ-দুৰ্দশার প্রধান কারণ। ভারতবাসীদের মধ্যে গভীর আত্মীয়তার বোধ নাই । হিন্দু মুসলমান থেকে নিজকে পৃথক বলে মনে করে, মুসলমান হিন্দু থেকে নিজেকে পৃথক বলে মনে করে, খৃষ্টান হিন্দু এবং মুসলমান উভয় থেকেই নিজেকে পৃথক বলে মনে করে। এই সব শ্রেণীর মধ্যে নিবিড় আত্মীয়তাবোধ কি ক’রে জাগাতে পারা যায় ? সামাজিক আত্মীয়তার বন্ধন বাঞ্ছনীয় হ’লেও, অপরিহার্য্য নয়। বিভিন্ন শ্রেণীর হিন্দুদের মধ্যে সামাজিক আত্মীয়তা-বন্ধন না থাকলেও, তারা মোটের উপর নিজের এক জাতি বলেই মনে করে। মুসলমানদের বিভিন্ন প্রদেশের লোকদের মধ্যে এবং বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের মধ্যে তেমন নিবিড় কোন আত্মীয়তার বন্ধন নাই, অথচ তারাও নিজেদের এক জাতি বলেই মনে করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, গভীর আত্মীয়তাবোধের জন্য সামাজিক
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।