ভবিষ্যতের বাঙালী S or দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন নেতৃবর্গের দ্বারা পরিচালিত হ’য়ে জাতীয় ঐক্যের, জাতীয় মঙ্গলের, জাতীয় স্বার্থের এবং জাতীয় আদর্শের বাণী দেশময় প্রচার করতে থাকেন, এবং একমাত্র সেই আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হ’য়ে যদি গঠনমূলক কাৰ্য্যে আত্মনিয়োগ করেন, তা”হ’লে কোন বিরুদ্ধ শক্তি চ তাদের প্রতিরোধ করতে পারবে না । ভারতবর্ষের, তথা বাংলার ভাগ্য তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হ’বে । এই নৃতন বাণীর প্রচারক কবি, মনীষী ও সাহিত্যিকদেরই হ’তে হ’বে । সব দেশেই এরাই নূতন যুগের, নূতন আদর্শের প্রচারকাৰ্য্য চালিয়েছেন। আমাদের দেশের সাহিত্যিকদেরও সে কাজ করতে হ’বে। এ কাজে যদি তারা একনিষ্ঠ ভাবে আত্মনিয়োগ করেন, তা’ হ’লে র্তাদের লেখায় নূতন তেজ, নূতন প্রাণ, নূতন শক্তি দেখা দেবে। নিজেদের সাফল্যে তঁরা নিজেরাই চমৎকৃত হবেন । আমি যে গঠনমূলক কাৰ্য্যের প্রস্তাব করছি, সে কাজ কেবল সাহিত্যিক অথবা রাজনৈতিক অথবা বিশেষ বিশেষ সঙ্ঘভুক্ত শ্রেণীর লোকদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে না। দেশের প্রত্যেক পুরুষ এবং প্রত্যেক নারীকে সে কাজ করতে হ’বে । প্ৰত্যেকের সে কাজ করা উচিত । স্কুল-কলেজের ছাত্ৰদেৱ, অপরিণত বয়স্ক বালক-বালিকাদেরও সে কাজ করা উচিত। সে কাজ কেবল বক্তৃতার সাহায্যে কিম্বা লেখার সাহায্যে কিম্বা সুগঠিত প্ৰতিষ্ঠানাদির সাহায্যে করলে চলবে না ; প্রত্যেক ভারতবাসীকে, প্রত্যেক বাঙালীকে নিজ নিজ সুযোগ এবং সুবিধামত কাজ করতে হ’বে । সে কাজের জন্য একমাত্র অপরিহার্য্য প্ৰয়োজন হ’চ্ছে। উদার দৃষ্টি এবং পরিশুদ্ধ অন্তরের। প্রত্যেককে দেশের সেবার জন্য, দশের সেবার জন্য শুদ্ধ মনে, স্থির সঙ্কল্প নিয়ে দিনের কাজ আরম্ভ করতে হ’বে, আর দিনের শেষে অস্তরের খাতা খুলে দেখতে হ’বে, সেদিন সে
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।