之á ভবিষ্যতের বাঙালী জাতীয়তার আদর্শ এ যুগে এতখানি প্রতিষ্ঠা লাভ করার কারণ কি ? প্রথম কারণ ; এ আদর্শের নির্দিষ্ট একটা ভৌগোলিক রূপ আছে । দেশপ্ৰেম বললে দেশের প্রতি প্ৰেম, কোনখানে তার সীমানা, কোনটা বিদেশ, দেশের মানুষ কারা, দেশের মানুষ কারা নয়, কারা প্ৰতি বেশী, কারা প্রতিবেশী নয়, এই সব প্রয়োজনীয় বিষয়ের সুস্পষ্ট ধারণ মািৰ্লষের মনে মূৰ্ত্ত হ’য়ে ওঠে, আর তার ভাব ও অনুভূতিকে বিশেষ একটা রূপ দিতে, তার প্রয়াসকে সুনিদিষ্ট পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে । দ্বিতীয় কারণ ; সাধনায় এবং কৰ্ম্মের বৈধতা এবং অবৈধতার সহজবোধ্য এবং প্রমাণসাপেক্ষ একটা মাপকাঠির (Standard) আদর্শ আমাদের হাতে তুলে দেয়। দেশের মঙ্গলের দিক থেকে বিচার করলে কোন কাজটা দেশের পক্ষে কল্যাণকার, আর কোন কাজটা কল্যাণকর নয় ; কোন আন্দোলন থেকে দেশের মঙ্গল হ’বে, কোনু আন্দোলন থেকে দেশের অনিষ্ট হ’বে ; কারা দেশের উপকার করছে, কারা দেশের অনিষ্ট করছে।---এ সব সহজে বোঝা যায় । তৃতীয় কারণ : দর্শন, বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব প্রভৃতি বৰ্ত্তমান যুগের অতি-প্ৰয়োজনীয় শাস্তুসমূহের আলোচনায় এ আদর্শ কোন বিয়ের সৃষ্টি তো করেই না, পক্ষা স্তরে এ সকলের আলোচনা এবং সাধনা যাতে ব্যাপক ভাবে হয়, তার জন্য এ আদশের সমর্থকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কেন না, তঁরা জানেন, দর্শন এবং বিজ্ঞানের উন্নতির উপর এবং বৈজ্ঞানিক শিক্ষার প্রসারের উপর জাতীয় মঙ্গল একান্তভাবে নির্ভর করে। মানুষ ধৰ্ম্মে বিশ্বাস করে, কি করে না, দেবতাদের বিষয়ে কে কি ধারণা মনে পোষণ করে, পরকাল বিশ্বাস করে কি না-জাতীয়তাবাদ তা” নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাই বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদীরা এআদর্শের সেবায় এবং সাধনায় সহজে ঐক্যবদ্ধ হ’য়ে আত্মনিয়োগ করতে
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।