ভবিষ্যতের বাঙালী Str সেজন্য জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্টের প্রতি বিদ্রোহের ভাব সহজে তার মনে জাগে না । নবম কারণ : এই নিত্য পরিবর্তনশীল জগতে এ আর্দশ সেবার এবং সাধনার নিত্য নূতন পথে যেতে মানুষকে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করে। দেশের মঙ্গল যখন আদর্শ, তখন কিসে সে মঙ্গল সাধন করা যেতে পারে, সেই দিকেই মানুষের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়, অন্য কোন অবান্তর কথা ভাববার তার সময় থাকে। মা এবং সেই মঙ্গল-সাধনের জন্য * মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঈ মিতা নতুন পথে অগ্রসর হয় । কেন না, সে কোঝে যে, অতীতের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত নূতন পন্থা প্ৰাচীন পন্থার চেয়ে ভাল। প্রাচীন-পন্থীদের মতামত, সমর্থন বা অসমর্থন তার * সহজ বুদ্ধিকে বিরুত কিম্বা লক্ষ্যভ্ৰষ্ট করে না । মধ্যযুগে পৰ্ম্মষ্ট ছিল বাষ্টের ভিত্তি। বৰ্তমান যুগে পৰ্ম্মের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কোন রাষ্ট ইউরোপে নাই ! ধৰ্ম্ম সেখানে এখন রাষ্ট্ৰীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না, মানুষের আপ্যাত্মিক জীবন এবং তার পারলৌকিক মঙ্গল নিয়েই থাকে। প্ৰাচোর স্বাধীন রাষ্টসমূহে ও ধৰ্ম্ম এখন রাষ্ট্ৰীয় অধিকার থেকে দ্রুত বঞ্চিত ত’চ্ছে। তুরস্ক, ইরাণ, চীন, জাপান প্রভৃতির দষ্টান্ত উল্লেখ করা যেতে পারে । ভারত বর্ষ স্বাধীন দেশ নয় । এখানকার রাষ্ট্ৰীয় জীবন অনেকাংশে বৈদেশিক শক্তির ইচ্চার উপর নির্ভর করে । জনসাধারণের মপ্যে। কিন্তু দু’টি আদর্শের প্রভাব কাৰ্য্যকারী ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। একটিপ্ৰাচীন ধৰ্ম্মমূলক আদর্শের ; দ্বিতীয়টি-আধুনিক জাতীয়তাপূৰ্ব আদর্শের। ধূৰ্ম্মের ভিত্তিতে_প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের প্রকৃতিগত বিশেষত্ব কি ? এ আদর্শ কি বৰ্ত্তমান যুগে চলতে পারে? রাষ্ট্রের সঙ্গে ধৰ্ম্মের অঙ্গান্ধী সম্পর্ক রাখা কি বৰ্ত্তমান যুগে বাঞ্ছনীয়?--
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।