ভবিষ্যতের বাঙালী 80 আশীৰ্বাদু পাবার জন্য তারা লালায়িত। সাধু, সুফী, দরবেশ প্রভৃতিদের র্তারা যথেষ্ট সম্মান করেন। শালীনতা এবং ভদ্রতার পথ কখনও তঁরা বর্জন করেন না। ন্যায়কথা যার মুখ থেকেই আসুক না কেন, সন্ত্রমের সঙ্গে তঁরা তা” শুনেন, আর তার নির্দেশমত কাজ করেন । দুৰ্ব্বলের প্ৰতি তারা ন্যায়বিচার করেন, তাদের প্রতি র্তার করুণা দেখান । মুক্তহস্তে র্তারা দান করেন, অকাতরে তঁরা খরচ করেন। দরিদ্রের সঙ্গে নম্রভাবে তারা মেলামেশা করেন। ধৈৰ্য্যের সঙ্গে বিচার প্রার্থীর আবেদন তঁরা শুনেন । ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে, খোদার এবাদত বন্দেগীতে র্তারা কখনও শৈথিল্য করেন না। ভণ্ডামি, ধৰ্ম্মদ্রোহিতা, শপথভঙ্গ প্ৰভৃতি নীচতা তারা বর্জন ক’রে চলেন । এই সবই হ’চ্ছে রাজার যোগ্য গুণাবলী । এই সবের বলেই তঁরা রাজত্ব করেন, এই সবের বলেই তারা রাজক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন, আর এই সবের দরুণই জনসাধারণের উপর তঁাদের আধিপত্য । আর এও নিশ্চিত যে, খোদা বা সর্বনিয়ন্ত তাদের স্বজাতিপ্রেম এবং ঐশ্বৰ্য্যের অনুপাতে এই সব গুণাবলীর দ্বারা তাদের বিভূষিত করেছেন। এই সব গুণাবলী অর্থহীন এবং অপ্রয়োজনীয় মোটেই নয় । সাম্রাজ্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাদের স্বজাতিপ্ৰেম এবং সদগুণাবলীর স্বাভাবিক পরিণতি মাত্ৰ । বোঝা যাচ্ছে বিশ্বনিয়ুস্থা যখন কোন জাতিকে রাজ্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে চান, তখন তিনি তাদের স্বভাব-চরিত্রকে সংশোধিত করেন এবং বিবিধ সদগুণাবলীর দ্বারা তাদের বিভূষিত করেন। পক্ষান্তরে তিনি কোন জাতিকে রাজ্য এবং রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা থেকে তখনই বঞ্চিত করেন, যখন সেই জাতির স্বভাব-চরিত্রে বিভিন্ন রকমের আবিলতা এসে দেখা দেয়, নানা রকম পাপপ্রবৃত্তি তাদের জীবনে আত্মপ্ৰকাশ করে, তাদের মধ্যে থেকে প্ৰশংসনীয় গুণাবলী অদৃশ্য
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।