8S ভবিষ্যতের বাঙালী হয় ; আর বিভিন্ন প্রকারের অনাচার এবং গহিত আচরণ আত্মপ্রকাশ করে । ধীরে ধীরে রাজ্য এবং রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা তাদের হাত থেকে অন্যের হাতে চলে যায়। বিশ্বস্রষ্টা এই ভাবে দেখান যে, তিনি সেই হতভাগ্য জাতির অনাচার, অত্যাচারে বিরক্ত হ’য়ে তঁর কৃপা এবং তঁর প্ৰতিনিধিত্বের দায়িত্ব তাদের কাছ থেকে তুলে নিয়েছেন, আর তাদের যায়গায় তাদের চেয়ে চরিত্রবান এবং যোগ্যতার জাতির উপর তার • প্ৰতিনিধিত্বের এবং বিশ্ববাসীর প্রতিপালন, রক্ষা এবং শাসনের ভার অৰ্পণ করেছেন। প্ৰাচীন জাতিসমূহের ইতিহাসের পর্য্যালোচনা করলে দেখতে পাওয়া যাবে যে, রাষ্ট্রের উত্থান-পতন এবং একের তাত থেকে অন্যের হাশে রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতার যাওয়া-আসা - 'আবহমানকাল থেকে এইভাবেই চলে আসছে। ইবনে খালদুন অতি খাট, অতি সত্য কথাই বলেছেন। জাতির চরিত্রের উৎকৰ্ষই হ’চ্ছে তারা সৰ্ব্ববিধ উন্নতির, তার রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতার মূল উৎস। আমরা যদি সত্যই রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতার অধিকারী হ’তে চাই, তা’হ’লে আমাদের জাতীয় চরিত্রকে তার উপযোগী ক'রে তুলতে হ’বে। কতকগুলি দুর্বলতা আমাদের জাতীয় চরিত্ৰে সৰ্ব্বত্র পরিলক্ষিত হয়, যার প্ৰতিপত্তি আছে, তাকেই আমরা মাথায় তু’লে নিতে চাই । ভক্তি আমাদের এত বেড়ে যায় যে, প্ৰতিবাদ এবং সমালোচনার ক্ষমতা \ অনেক ক্ষেত্রে আমরা হারিয়ে ফেলি। যারা ক্ষমতা পান, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত এবং বংশগত স্বাৰ্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই ব্যবতার করেন। স্বার্থসিদ্ধির জন্য সত্যের অপলাপ আমাদের দেশে নিত্যকার ঘটনা । আত্মসম্মান যে মনুষুত্বের প্রধান গুণ এবং সৰ্ব্ববিধ গুণাবলীর উৎস, সে কথা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের মানুষ ) ভুলে যায়। মিথ্যা এবং ভণ্ডামির সাহায্যে যিনি ক্ষমতা লাভ করেন, তার /
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।