ay ভবিষ্যতের বাঙালী আমাদের অবিকৃত মন বলে, যে হিন্দু চায় যে মুসলমানের সংখ্যা কমুক, সে হিন্দু কৃপার পাত্র ; আর যে মুসলমান চায় যে হিন্দুর সংখ্যা কামুক, সে মুসলমানও কৃপার পাত্র। অথচ এই শ্রেণীর লোকেরই এখন প্রাধান্য । কোন কারণে যদি হিন্দুর সংখ্যা কমতে থাকে, তা’ হ’লে যে মুসলমান প্রকৃতই দেশপ্রেমিক, তার চিন্তান্বিত হওয়া উচিত ; পক্ষাস্তরে, যদি কোন কারণে মুসলমানের সংখ্যা কমতে থাকে, তা’ হ’লে যে হিন্দু প্রকৃতই দেশপ্রেমিক, তারও চিন্তান্বিত হওয়া উচিত। কেন না, যে সত্যকার দেশপ্রেমিক, সে হিন্দু-মুসলমান •নির্বিশেষে সকলেরই মঙ্গল চাইবে, আর যদি এই দুই সমাজের কোনটী ক্ষতিগ্ৰস্ত হ’তে থাকে, তা” হ’লে তার প্রতিকারের বিষয়ে সচেষ্ট হ’বে । এ মনোবৃত্তি ছাড়া མ་བྱ་ কোন মনোবৃত্তি নিয়ে যিনি দেশের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে চিন্তা করেন, বর্তকে প্রকৃত দেশপ্ৰেমিক বলা যায় না । পরিতাপের বিষয় এই, যে মনোবৃত্তিকে আমি এখানে কাম্য ব’লে উল্লেখ করলুম, সে মনোবৃত্তি আপাততঃ এ দেশে একান্তই বিরল। এর কারণ কি ? আর প্রতিকারেরই যা উপায় কি ? একটি গল্প মনে পড়ে। বিলাতে একবার আমরা কয়েক জন বন্ধু মিডল টেম্পল-এ ডিনার খাচ্ছিলুম। আমাদের দলে একজন দক্ষিণ আফ্রিকার ইংরেজ ছিলেন-ৰ্তার নাম রাসেল। বয়স অনুমান ৩৫ বৎসর। এই পরিণত বয়সেই তিনি আইন শিখতে এসেছিলেন। কলনাইট্র-এর ডিনার। প্রচুর ভোজ্যদ্রব্যের সদ্ব্যবহার হচ্ছিল। কত রকম গল্প-গুজব চলছিল। ভারতীয় বন্ধুরা সেই চিরন্তন হিন্দু-মুসলিম সমস্যার আলোচনাই করছিলেন । ইংরেজরা আলোচনা করছিলেন। জার্মাণীর সামরিক তোড়জোড়ের কথা, ইটালীর অভিপ্ৰায়ের কথা, আন্তর্জাতিক আরও অনেক কথা ।
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।