उठविषुङद्ध त७की Գ\Ն কিছু নগদ টাকা আমায় তিনি দিলেন। তঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি এই জোহান্সবার্গে এসেছি, এখান থেকে আমার ফাম দুদিনের পথ ।” রাসেল গল্প শেষ ক’রে বললে, “কেমন গল্প ? আমরা সকলেই মুক্তকণ্ঠে বললুম, “এমন গল্প আমরা কখনও শুনিনি।” সে অনেক দিনের কথা, কিন্তু রাসেলের গল্প এখনও ভুলতে পারি নি। বাংলার সেন্সাস-বিভ্রাটের কথা ভাবতে ভাবতে গল্পটি হঠাৎ আমার মনে এল। আমার মনে হ’ল, এই গল্পের মধ্যেই যেন আমাদের মুক্তির ইঙ্গিত আছে। অনেকে ভাববেন, গল্প তো হ’ল ; কিন্তু এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সমস্যার সম্পর্ক কি ? আমাদের দেশের এই বৰ্ত্তমান সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষটাকে যদি গল্পের কাফ্রি উপজাতি রূপে ধরে নেওয়া হয়, আর কাফ্রিদের দেওয়া মদকে যদি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের লভ্যাংশ রূপে ধ’রে নেওয়া যায়, তা’হ’লে সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষ নামক রাক্ষসের হাত থেকে বাচাঁবার একটা উপায়। এই গল্প থেকেই পাওয়া যেতে পারে। হক এবং স্পীড উভয়কেই কাফ্রিরা তাদের মদ খেতে দিয়েছিল । হক ছিল বুদ্ধিমান, সংযমী লোক । সে সেই মদ যথাসম্ভব বর্জন করেছিল। পক্ষান্তরে, স্মীডের বুদ্ধি ছিল মোটা, আর লোভ ছিল বেশী । কাফ্রিদের দেওয়া মদ সে অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণেই সেবন করেছিল । হক এবং স্পীড উভয়েই ছিল বন্দী । হক কিন্তু দিনরাত মুক্তির চিন্তায় মগ্ন থাকত, মুক্তির স্বপ্ন দেখত, আর মুক্তির উপায় উদ্ভাবন করত, তাই শেষে সে তার বাঞ্ছিত মুক্তি লাভ ক’রে ধন্য হ’ল। শ্ৰীড মুক্তির কথা ভাববার অবসর পেত না। দিনরাত সে কাফ্রিদের দেওয়া মদের নেশায় বিভোর থাকত। মুক্তির উপায় যখন
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।