ভবিষ্যতের বাঙালী ክምኳም ̆ ফলে কিন্তু পরবত্তী কালে ধৰ্ম্মে ও সমাজজীবনে গ্লানি এসে উপস্থিত হ’ল । ধৰ্ম্মের প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা ভুলে, মহাপুরুষের আদর্শের কথা ভুলে সাধারণ, ধৰ্ম্মযাজকেরা এবং ধৰ্ম্ম গ্রন্থের ব্যাখ্যাকারের আঁকড়ে ধরলেন আক্ষরিক অনুশাসনকে, বিধি-নিষেধের শৃঙ্খলকে আর আচারের প্রাণহীন কাঠামোকে । ফলে, সমাজে এসে দেখা দিল অন্তঃসারহীন টীকার যুগ, প্রেরণাহীন ব্যাখ্যার যুগ। ধীরে ধীরে শাস্ত্রের প্ৰকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকে ভুলে গেল ; শব্দ আর তার আভিধানিক এবং বৈয়াকরণিক অর্থ নিয়েই সাধারণ পণ্ডিতদের মধ্যে মাতামাতি, চলতে লাগিল । সাম্রাজ্যবিস্তারের ফলে আরবেরা বিভিন্ন জাতির, বিভিন্ন সভ্যতার সংস্পর্শে এসেছিল। গ্ৰীক সভ্যতা তখনও মরেনি। সক্রেটিস, প্লেটাে, এরিষ্টটল, ইউক্লিড, গ্যালিয়েন প্ৰভৃতি মনীষীদের চিন্তাধারা তখনও পূৰ্ব-রোমাণ সাম্রাজ্যে ক্ষীণভাবে প্রবাহিত হচ্ছিল ; আরবেরা এই চিন্তাধারার সংস্পর্শে এল। জীবনের ধারা তাদের মধ্যে তখন উদ্দামবেগে প্রবাহিত হচ্ছিল। মহাপুরুষ মোহাম্মদ স্বয়ং জ্ঞানের সাধক ছিলেন এবং জ্ঞান-সাধনার জন্য শিষুদের সবিশেষ উপদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। গ্ৰীক জ্ঞানের সঞ্জীবনী সুধার সন্ধান পেয়ে আকণ্ঠ সে অমৃত তঁরা পান করলেন ; ফলে, চিন্তাশীল সুশিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অভিনব এক ভাবধারা এসে দেখা দিল-যাকে যুক্তিবাদ (Rationalism) নামে অভিহিত করা যেতে পারে। “সব তত্ত্বের বিচার যুক্তির সাহায্যে করতে হ’বে, এমন কি ধৰ্ম্মের ও”-এই হ’ল এই দলের আদর্শ } যারা এই আদর্শের অনুসরণ করতেন, তারা “মোতা জেলা” নামে ইতিহাসে খ্যাতি লাভ করেছেন। “মোতা জেলা”বাদ একদিন মোসলেম জগতে সবিশেষ বিস্তার এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। বাগদাদের বিখ্যাত
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।