হ’লো বাগানের মধ্যেই কোথাও পড়েচে, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়ে দেখি হরিচরণ পণ্ডিতের বাসার দিকে ছেলেরা ছুট্চে। সেই বাড়িতেই বাজ প’ড়েছিলো। তখন তাঁর বড়ো মেয়ে উনানে দুধ জ্বাল দিচ্ছিলেন, তিনি অজ্ঞান হ’য়ে প’ড়লেন। ছেলেরা দূর থেকে দেখ্তে পেলে চালের উপর থেকে ধোঁয়া উঠ্তে আরম্ভ হ’য়েছে। তারা তো সব চালের উপর চ’ড়ে ‘জল জল’ করে চীৎকার ক’র্তে লাগ্লো। ছেলেরা কুয়ো থেকে জল ভ’রে এনে চালের উপর আগুন নিবিয়ে ফেল্লে। ভাগ্যে, হরিচরণের বাড়ির কাউকে আঘাত লাগে নি। কেবল হরিচরণের মেয়ের হাত একটু পুড়ে ফোস্কা পড়েছিলো। কিন্তু সব চেয়ে ভালো লেগেছিলো আমার ছেলেদের উদ্যোগ দেখে। তাদের না আছে ভয়, না আছে ক্লান্তি। নির্ভয়ে হাতে ক’রে ক’রে চালের খড় ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে দিতে লাগ্লো। আর দূরের কুয়ো থেকে দৌড়ে দৌড়ে সার বেঁধে জলভরা ঘড়া এনে উপস্থিত ক’র্তে লাগলো। ওরা যদি না দেখ্তো এবং না এসে জুট্তো তাহলে মস্ত একটা অগ্নিকাণ্ড হ’তো। এমনি ক’রে কাল অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত ঝড়-বাদল হ’য়ে আজ অনেকটা ঠাণ্ডা
পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
১৩