নিজের চিরপথের কেন্দ্রস্থিত আলোকের উৎসকে প্রদক্ষিণ ক’র্চে। নিজেকে ঘোরবার সময় সূর্য্যের দিকে পিঠ ফেরাতেই দেখ্তে পায়-যে, তা’র নিজের কোনো আলো নেই, তা’র নিজের দিকে অন্ধতা, ভয়, জড়তা,— কিন্তু নিজের সেই অন্ধকারটুকুকে না জান্লে সূর্য্যের সঙ্গে তা’র সম্বন্ধের পূর্ণ পরিচয় সে পেতো না। আমরাও আমাদের ছোটো আবর্ত্তনে নিজেকে ঘুরি; এ ঘোরাতেই জান্তে পারি, আমার দিকে অন্ধকার, বিভীষিকা, মোহ, আমার দিকে ক্ষুদ্রতা; কিন্তু সেই জানার সঙ্গে সঙ্গেই যখন সেই অমৃতের উৎসকে জানি, তখন অসত্য থেকে সত্যে, অন্ধকার থেকে আলোকে, মৃত্যু থেকে অমৃতে আমরা যেতে থাকি। এইজন্যে আপনাকে আর তাঁকে দুইকেই একসঙ্গে জান্তে থাকলে তবেই আমরা আমাদের বন্ধনকে নিয়ত অতিক্রম ক’র্তে ক’র্তে, মুক্তির স্বাদ পেতে পেতে, অমৃতের পাথেয় সংগ্রহ ক’র্তে ক’র্তে চিরদিনের পথে চ’ল্তে পারি। আমাদের ক্ষুদ্র-প্রতিদিন আমাদের বৃহৎ-চিরদিনকে প্রণাম ক’র্তে ক’র্তে চ’ল্তে থাক্বে, আমাদের ক্ষুদ্র-প্রতিদিন তা’র সমস্ত আহরণগুলিকে বৃহৎ-চিরদিনের চরণে সমর্পণ ক’র্তে ক’র্তে
পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৪১