পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা | ভাবের বাহক । ভাবই প্রধান ; ভাষা পরে। স্ত্রীরে মতির সাজ পরানে ঘোড়ার উপর, বদর বসালে কি ভাল দেখায় ? সংস্কৃতর দিকে দেখ দিকি | ব্রাহ্মণের সংস্কৃত দেখ, শবর স্বামীর মীমাংসাভাষ্য দেখ, পতঞ্জলির মহাভাষ্য দেখ, শেষ—আচার্য্য শঙ্করের মহাভান্য দেথ ; আর অৰ্ব্বাচীন কালের সংস্কৃত দেখ —এখুনি বুঝতে পারবে যে, যখন মানুষ বেঁচে থাকে, তখন জেস্ত-কথা কয় ; ম’রে গেলে, মরা-ভাষা কয় । যত মরণ নিকট হয়, নূতন চিন্তাশক্তির যত ক্ষয় হয়, ততই তু একটা পচাভাব রাশীকৃত ফুল চন্দন দিয়ে ছাপাবার চেষ্ট হয় । বাপ রে, সে কি ধূম্—দশ পাতা লম্বা লম্বা বিশেষণের পর জুম ক’রে—“রাজা আসীৎ” !!! আহাঙ্গা ! কি প্যাচওয়া বিশেষণ, কি বাহাদুর সমাস, কি শ্লেষ ! —ও সব মড়ার লক্ষণ । যখন দেশট উৎসন্ন যেতে আরম্ভ হ’ল তখন এই সব চিহ্ন উদয় । হ’ল । ওটি শুধু ভাষায় নয়, সকল শিল্পতেই এল। বাড়ীটার না আছে ভাব, না ভঙ্গি : থামগুলোকে কুঁদে কুঁদে সারা ক’রে দিলে । গয়নাটা নাক ফুড়ে ঘাড় ফুড়ে ব্রহ্মরাফুলী সাজিয়ে দিলে, কিন্তু সে গয়নায় লতা পাতা চিত্র বিচিত্রর কি ধুম্‌ ! গান হচ্ছে, কি কান্ন হচ্ছে, কি ঝগড়া হচ্ছে—তার কি কি ভাব, কি উদ্দেশু, তা ভরত ঋষিও বুঝতে পারেন না ; আবার সে গানের মধ্যে প্যাচের কি ধুম্‌ ! সে কি অণকা বাক ডাম ডোল–ছত্রিশ নাড়ীর টান তায় রে বাপ । তার উপর মুসলমান ওস্তাদের নকলে দাতে দাত চেপে, নাকের মধ্য দিয়ে আওয়াজে সে গানের আবির্ভাব ! এ গুলো শোধরাবার লক্ষণ এখন হচ্ছে, এখন ক্রমে বুঝবে যে, যেটা ভাবহীন, প্রাণহীন—সে ভাষা সে শিল্প, সে সঙ্গীত— ᎼᎽ