পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অগ্ন্যাশয় অগ্ন্যাগার নির্মিত হইত। সেইখানে যথাবিধি অগ্নি । প্রতিষ্ঠা করা হইত। এই অগ্নিপ্রতিষ্ঠাকর্মের নাম অগ্ন্যাধান। যিনি অগ্নি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁহাকে আহিতাগ্নি বলা হয়। অগ্নিশালাস্থ চতুষ্কোণ বেদীর তিন দিকে তিনটি অগ্নিস্থাপন করা হইত। বেদীর পশ্চিম দিকে গার্হপত্য, পূর্বদিকে আহবনীয় এবং দক্ষিণে দক্ষিণাগ্নির স্থান নির্দিষ্ট ছিল। আহবনীয় অগ্নিতে দেবগণের উদ্দেশে এবং দক্ষিণাগ্নিতে পরলােকগত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে আহুতি প্রদত্ত হইত। গার্হপত্য অগ্নিকে কখনও নির্বাপিত হইতে দেওয়া হইত না। প্রয়ােজনমত উহা হইতে আহবনীয় ও দক্ষিণাগ্নিস্থানে অগ্নি আনীত হইত। আহবনীয় অগ্নিতে প্রতিদিন অনুষ্ঠেয় যজ্ঞের নাম অগ্নিহােত্র। এই উপলক্ষে প্রাতঃকালে ও সন্ধ্যায় যথাক্রমে সূর্য ও অগ্নির উদ্দেশে আহুতি দিতে হইত। সামান্য একটু দুধ, তদভাবে সামান্য দধি বা চাউল আহুতি দিলেই কার্য সম্পন্ন হইত। যিনি নিত্য অগ্নিহােত্ৰযাগ সম্পাদন করেন তাহাকে অগ্নিহােত্রী বলা হয়। গৃহস্থকে স্বয়ং এই যাগ করিতে হইত। অসমর্থ হইলে পুত্র, ভ্রাতা, ভাগিনেয়, জামাতা, অথবা অধ্বযুকে প্রতিনিধিরূপে নিযুক্ত করার ব্যবস্থা ছিল। ঐ ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, পঞ্চবিংশ অধ্যায়, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী -কৃত অনুবাদ, রামেন্দ্র-রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, যজ্ঞকথা, রামেন্দ্র-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড; A. B. Keith, tr. The Rigveda Brahmanas, Harvard Oriental Series, Vol. XXV, 1920. বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য অগ্ন্যাশয় (pancreas) ক্ষুদ্রান্ত্রের (small intestine) সন্নিকটে অবস্থিত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিটি দুই প্রকার রস ক্ষরণ করে—পাচকরস ও হর্মোন। | অগ্ন্যাশয়ের ক্ষারধর্মী পাচকরস নালিকার সাহায্যে ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌছায়। ইহাতে ট্রিপসিন (trypsin), কাইমােট্রিfra ( chymotrypsin ), atat ca 5 ( amylase ), লাইপেজ, (lipase) প্রভৃতি এজাইম থাকে—প্রথম দুইটি ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রােটিনের, তৃতীয়টি শর্করার ও চতুর্থটি তৈলজাতীয় খাদ্যের পাচন করে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০-১২০০ মিলিলিটার পাচকরস অগ্ন্যাশয় হইতে ক্ষরিত হয়। আহারের সময় খাদ্যের স্বাদ, গন্ধ প্রভৃতির জন্য স্নায়ুর প্রভাবে ইহার ক্ষরণ ঘটে। খাদ্য ক্ষুদ্রান্ত্রে পেীছিলে ক্ষুদ্রান্ত্রের গাত্র হইতে রক্তে ক্ষরিত সিক্ৰিটিন (secretin)

অগ্রবাল ও প্যানক্রিয়ােজাইমিন ( pancreozymin) হর্মোন-দ্বয়ের প্রভাবেও অগ্ন্যাশয় হইতে এই পাচকরসটি ক্ষরিত হয়। এতদ্ব্যতীত অগ্ন্যাশয় হইতে রক্তে ইনসুলিন (insulin) ও কাগন (glucagon) নামক দুইটি হর্মোনও ক্ষরিত হয়। এই বিষয়ে অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি’ ও ‘হর্মোন’ দ্রষ্টব্য। অজিতকুমার চৌধুরী। | অগ্রদানী পতিত ব্রাহ্মণসম্প্রদায়বিশেষ। ইহাদের জল অনাচরণীয়। ইহারা প্রেতের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রেতশ্রাদ্ধের দ্রব্য, প্রায়শ্চিত্তের দান এবং তিলদান, স্বর্ণদান, গােদান প্রভৃতি গ্রহণ করেন বলিয়া পতিত। অথচ এই সমস্ত দান গ্রহণের জন্য সমাজে ইহাদের চাহিদা ও প্রয়ােজন আছে। তবে বর্তমানে অনেক সাধারণ ব্রাহ্মণ পুরােহিতও | যে এই দান গ্রহণ করেন না এমন কথা বলা যায় না। চিন্তাহরণ চক্রবর্তী অগ্রদ্বীপ বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার সদর থানায় গঙ্গার চড়ায় অবস্থিত গ্রাম। ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দের জনগণনা অনুযায়ী এই মৌজার জনসংখ্যা ছিল ৩,১৮০। শ্ৰীচৈতন্যের | পার্ষদ গােবিন্দ ঘােয প্রতিষ্ঠিত গােপীনাথ জীউ এখানকার বিখ্যাত দেবতা। বারুণী উপলক্ষে এখানে পক্ষকালব্যাপী | বিরাট মেলা বসে। চৈত্রমাসে এখানে সাহেবধনী সম্প্রদায়ের একটি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাণ্ডেল বারহাবােয়া লুপ | লাইনের পাটুলি স্টেশন হইতে ৫ কিলােমিটার ( তিন মাইল) উত্তরে ভাগীরথীর পূর্ব পারে অগ্রদ্বীপ অবস্থিত।

পঞ্চানন চক্রবর্তী অগ্রবন আগ্রা দ্র অগ্রবাল (আগরওয়াল, আগরবাল) কিংবদন্তী, প্রত্নতত্ত্ব ও মুদ্রা হইতে প্রাপ্ত উপাদান একত্রিত করিয়া বলা চলে যে এই জাতির আদিস্থান ছিল দক্ষিণ-পূর্ব পাঞ্জাবের হিসার জেলায় ফতেহাবাদ-শিরসা (শৈরীষক) পথের উপর অবস্থিত অগ্রোদক ( অগরােহ) নগর। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খননকার্যে প্রাপ্ত মুদ্রায় প্রাকৃত ভাষায় লিখিত আছে ‘অগােদকে অগাচ জনপদস’ অর্থাৎ অগ্রোদক স্থানে অগাচ ( অগ্ৰত্য বা অগ্র) জনপদের মুদ্রা। অনুমিত হয় অগ্রজনপদের সংগঠনকেও জনপদ যুগের অন্য জাতিগণের রাজনৈতিক সংগঠনের ন্যায় শ্রেণী বলা হইত। ইহার একক ছিল কুল। প্রত্যেক কুলে বয়ােজ্যেষ্ঠ পুরুষ প্রধান হইতেন। অগ্ৰশ্রেণীর কুলপুরুষ ( আদি পুরুষ ) ছিলেন রাজা অগ্রসেন। ইহার রাজধানী ছিল অগয়ােহা।

১৩