বস্ত্রে আচ্ছাদিত মৃতদেহকে বাঁশে বাঁধিয়া লোকেরা লইয়। যাইতেছে। পরিবারবর্গ করতাল বাজাইতে বাজাইতে, লাফাইয়া লাফাইয়া চলিয়াছে এবং মধ্যে মধ্যে “রাম রাম” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিতেছে। শববাহীদল অন্তৰ্হিত হইল। এক্ষণে দেখিতেছি, শৃঙ্খলবদ্ধ শিকারী কুকুরবৃন্দ—বেগ্নি রঙের পরিচ্ছদে আবৃত। উদ্যানে খাটয়ার উপর, মহারাজার শিকারী নেক্ড়ে বাঘ, সুনম্য কৃশদেহ অদ্ভুত জীব, দেখিতে উদার-প্রকৃতি, ইহার তীক্ষ্ণ চক্ষে যেন বিদ্যুত খেলিতেছে, রক্ষকেরা মুঠা বাড়াইয়া দিতেছে, আর সে কণ্টকিত জিহ্বার দ্বারা তাহা চাটতেছে। অন্যত্র, একটা বিবাহ-ব্যাপার। চল্লিশ জন গায়িকা স্ত্রীলোক, জরদ রঙের রেশ্মি কাপড়ে সজ্জিত হইয়া ভূতলে বসিয়া আছে। কন্যার বয়স দশ বৎসর, সে কেবল গায়িকাদিগের মধ্যে দাঁড়াইয়া আছে। রাস্তার শেষভাগে পদ-পথের উপর একটা গরাদের পিছনে, দশটা নরাহারী ব্যাঘ্ররাজ মস্তক নত করিয়া তাহাদের কারাগৃহের মধ্যে ধীরে ধীরে পায়চালি করিতেছে। লোকেরা উহাদিগকে “সাহেব” অর্থাৎ প্রভু বলিয়া সম্বোধন করিতেছে—“সাহেব” নামের উপযুক্ত বটে। উহাদের মধ্যে যাহাকে সর্ব্বাপেক্ষা দেখিতে ভাল, সে ষোলটা স্ত্রীলোককে বধ করিয়াছে। ... ... ... ... ... ...
এই বিচিত্র দৃশ্যের মধ্যে, একটি দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়—সে দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর। ছোট ছোট ছেলেদের নগ্নদেহের কি নমনীয়তা, কি লাবণ্য! যত দেখি ততই ভাল লাগে—দেখিয়া ক্লান্ত হই না। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদিগের সুগোল ট্যাবাটোবা ক্ষীণদেহ দেখিতে অতি চমৎকার। দীর্ঘ কৃষ্ণবর্ণ কেশগুচ্ছ তাহাদের সুন্দর বিহ্বল মুখের উপর এবং সুকুমার-গঠন সুন্দর বক্ষের উপর