ঝুলিয়া পড়িয়াছে। সেই নবীন পেশীরাশি ও শোণিতের বল ও স্বাস্থ্য যেন স্পষ্ট অনুভব করা যায়। সে অতি চমৎকার। তাহাদের শ্যামবর্ণ দেহচর্ম্ম, আলোক ও বিশুদ্ধ বায়ুতে আচ্ছন্ন —তাহাতে আলোক ও ছায়া কেমন সুন্দররূপে মিশিতেছে। যুবতী স্ত্রীলোকদিগের বক্ষের নিম্নদেশ হইতে উদরের মধ্যদেশ পর্য্যন্ত অনাবৃত—তাহারা যেরূপ পরিচ্ছদ পরে তাহা অতি সুন্দর। তাহাদের পরিহিত কোমল পরিচ্ছদ যেরূপ দেখিতে মধুর, নয়ন-তৃপ্তি কর, সাদাসিধা ও শান্তিময় এমন আর কোথাও নাই। যে সকল বালিকারা অপেক্ষাকৃত কৃশ, তাহদের আভ্যন্তরিক দেহপঞ্জরের আন্দোলন স্পষ্ট যেন দেখিতে পাওয়া যাইতেছে।
একটা মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম, তাহার প্রকাণ্ড সোপান রাস্তা পর্য্যন্ত আসিয়া পড়িয়াছে। নিম্নদেশে, উষ্ট্রেরা হাঁটু গাড়িয়া ঘুমাইতেছে এবং সোপানের ধাপের উপর কুকুরেরা রৌদ্রে শুইয়া আছে। সোপান দিয়া উঠিয়া একটা প্রাঙ্গণের সম্মুখে আসিলাম, সেই মার্ব্বল-আচ্ছাদিত প্রাঙ্গণে গাভীবৃন্দ মুক্তভাবে বিচরণ করিতেছে। ইহার এক কোণে দুইটি পবিত্র বৃক্ষ প্রতিষ্ঠিত—একটি পুরুষ-বৃক্ষ বট এবং আর একটি স্ত্রী-বৃক্ষ, তাহার নাম পিপ্পল। একজন বৃদ্ধ প্রথম বৃক্ষটির চারিদিকে দ্রুতভাবে প্রদক্ষিণ করিতেছে, আর একটি বৃদ্ধ দ্বিতীয় বৃক্ষটির পাতায় জল ঢালিতেছে। ইহার ধারে আর একটি দ্বিতীয় প্রাঙ্গণ, ইহা স্তম্ভ-পরিধৃত বারাণ্ডার দ্বারা বেষ্টিত; এইখানে, ছায়াতলে বসিয়া লোহিত বসনাবৃত কতকগুলি স্ত্রীলোক, পুরোহিতের মুখ হইতে নাকী-সুরে উচ্চারিত রামায়ণ-গান শান্তভাবে শুনিতেছে। ঘোমটার নীচে যে সুন্দর মুখগুলি দেখা যাইতেছে, তাহারা যে খুব ধ্যানে মগ্ন এরূপ বোধ হয় না। এখানে সকলেই এক পরিবারের-মত