দশ, দ্বাদশ, ষোড়শ, ষট্, এবং পঞ্চতাল ছাড়া মূর্তিগঠনে উত্তম নবতাল পরিমাণ ভারতশিল্পীগণকে প্রায়ই ব্যবহার করিতে দেখা যায়। এই উত্তম নবতাল পরিমাণ অনুসারে মূর্তির আপাদমস্তক সমান নয় ভাগে বিভক্ত করা হয় এবং এই এক-এক ভাগকে তাল কহে। তালের এক-চতুর্থ ভাগকে এক অংশ কহে। এইরূপ চারি অংশে এক তাল হয় এবং মূর্তির আপাদমস্তকের দৈর্ঘ্য বা খাড়াই ছত্রিশ অংশ বা নয় তাল নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। পূর্বমুদ্রিত চিত্রটি উত্তম নবতাল পরিমাণে অঙ্কিত।
উত্তম নবতাল পরিমাণে মূর্তির দৈর্ঘ্য বা খাড়াই, যথা—ললাটেব মধ্য হইতে চিবুকের নিম্নভাগ ১ তাল, কণ্ঠমূল হইতে বক্ষ ১ তাল, বক্ষ হইতে নাভি ১ তাল, নাভি হইতে নিতম্ব ১ তাল, নিতম্ব হইতে জানু ২ তাল, এবং জানু হইতে পদতল ২ তাল, ব্রহ্মরণ্ধ্র হইতে ললাটমধ্য ১ অংশ, কণ্ঠ ১ অংশ, জানু ১ অংশ, পদ ১ অংশ। প্রস্থ বা বিস্তার, যথা—মস্তক ১ তাল, কণ্ঠ ২॥০ অংশ, এক স্কন্ধ হইতে আর-এক স্কন্ধ ৩ তাল, বক্ষ ৬ অংশ, দেহমধ্য ৫ অংশ, নিতম্ব ২ তাল, জানু ২ অংশ, গুল্ফ ১ অংশ, পদ ৫ অংশ। উত্তম নবতাল পরিমাণে মূর্তির হস্তের দৈর্ঘ্য বা খাড়াই, যথা—স্কন্ধ হইতে কফোণী (কনুই) ২ তাল, কফোণী হইতে মণিবন্ধ ৬ অংশ, পাণিতল ১ তাল। প্রস্থ বা বিস্তার, যথা—কক্ষমূল ২ অংশ, কফোণী (কনুই) ১॥০ অংশ, মণিবন্ধ ১ অংশ।
মূর্তির মুখ তিন সমান ভাগে বিভক্ত করা হয়, যথা—ললাটের মধ্য হইতে চক্ষুতারকার মধ্য, চক্ষুর মধ্য হইতে নাসিকার অগ্র, নাসাগ্র হইতে চিবুক, এই তিন ভাগ।
শুক্রাচার্যের মতে নবতাল-পরিমিত মূর্তির প্রত্যঙ্গসমূহের পরিমাণ, যথা—শিখা হইতে কেশান্ত ৩ অঙ্গুলি খাড়াই, ললাট ৪ অঙ্গুলি, নাসিকা ৪ অঙ্গুলি, নাসাগ্র হইতে চিবুক ৪ অঙ্গুলি, গ্রীবা ৪ অঙ্গুলি খাড়াই।
৭