মুখানাং যত্র বাহুল্যং তত্র পংক্ত্যো নিবেশনম্।
তৎ পৃথক্ গ্রীবামুকুটং সুমুখং সাক্ষিকর্ণযুক্।
যে মূর্তিতে তিন বা ততোধিক মুখ রচনা করিতে হয় তাহাতে মুণ্ডগুলি এক শ্রেণীর উপরে আর-এক শ্রেণী করিয়া সাজাইয়া সকল মুখেরই পৃথক গ্রীবা কর্ণ নাসা চক্ষু ইত্যাদি দিয়া গঠন করা বিধেয়। যথা, পঞ্চমুখ মূর্তিতে সারি সারি পাঁচটি মুখ এক শ্রেণীতে ন সাজাইয়। চারি দিকে চার ও উপরে এক—ষড়্ মুখ মূর্তিতে প্রথম থাকে চার, দ্বিতীয় থাকে দুই— দশমুখ মূর্তিতে প্রথম চার, তদুপরি তিন, তদুপরি দুই ও সর্বোপরি এক— এইরূপভাবে সাজাইতে হইবে এবং সকল মুণ্ডগুলির পৃথক পৃথক গ্রীবা মুকুট চক্ষু কর্ণাদি থাকিবে।
ভূজানাং যত্র বাহুল্যং ন তত্র স্কন্ধভেদনম্।
মূর্তিতে চার বা ততোধিক বাহু রচনা করিবার সময় এক এক বাহুর এক এক স্কন্ধ দিতে হইবে না, কিন্তু একই স্কন্ধ হইতে বাহুগুলি ময়ূরপিচ্ছের মতো ছত্রাকারে রচনা করিতে হইবে।
কচিৎ বালসদৃশং সদৈব তরুণং বপুঃ।
মূর্তীনাং কল্পয়েচ্ছিল্পী ন বৃদ্ধসদৃশং ক্বচিৎ॥
ইষ্টদেবতার মূর্তি সর্বদা তরুণবয়স্কের ন্যায়, কখনো কখনো বালকের ন্যায় করিয়াও গঠন করিবে, কিন্তু কদাচিৎ বৃদ্ধের ন্যায় করিয়া গঠন করবে না।