পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

the infinite gentleness of Buddhist mysticism. And it is this which makes Ajanta a complete expression of every side of the Indian soul.” (Ibid page, 159).

 ভারতবর্ষের অধিকাংশ পুরাণই খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতক হইতে একাদশ শতকের মধ্যে লিখিত হয় এবং পৌরাণিক ধর্ম্ম ও পৌরাণিক চিত্র ও ভাস্কর্য্য খৃষ্টীয় তৃতীয় শতক হইতেই প্রচুর ভাবে আরব্ধ হয়। ইহারও বহুপূর্ব্ব হইতে যে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি গঠন ও প্রতিমা পূজার ব্যবস্থা ছিল সেই সম্বন্ধে কোন সন্দেহ করা যায় না। বেশনগরের গরুড়স্তম্ভ হইতে ইহা সুস্পষ্ট রূপে প্রমাণিত হয় যে খৃষ্টপূর্ব্ব দ্বিতীয় শতকেও ভাগবত ধর্ম্ম এমন বীর্যবান ছিল যে গ্রীকেরাও ঐ ধর্ম গ্রহণ করিত। খৃষ্টীয় দশম শতকের পর হইতে যে সমস্ত মূত্তি নির্ম্মিত হইত তাহা প্রায় সর্বত্রই হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা ছাড়া আর কিছুই নহে। পঞ্চম শতাব্দীর বরাহের বৃহৎসংহিতায় বহু হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা গঠন প্রণালী বর্ণিত হইয়াছে। শিল্পশাস্ত্রগুলির মধ্যে ও পঞ্চরাত্র আগমের মধ্যে বহু হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা গঠন প্রণালী বর্ণিত আছে। জাভা শিল্পের মধ্যেও বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি দেখা যায়। হিন্দুর দর্শন শাস্ত্রের নানা গভীর তত্ত্ব ও ধ্যান ও যোগের গভীর মহিমা প্রাকৃতিক উপায়ে সর্ব্বজনগম্য করিবার চেষ্টায় পুরাণ শাস্ত্রের উৎপত্তি। পুরাণ শাস্ত্র, নারায়ণ, লক্ষ্মী, শিব, পার্বতী, ব্রহ্মা, ইন্দ্র ও তৎ