পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

সমাপ্ত করা যায় না। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই আমাদের মনে পড়ে বুদ্ধঘোষের ধম্মসঙ্গনীর অট্‌ঠশালিনী টীকায় চিত্রীর চিত্রকল্পনা সম্বন্ধে তিনি যাহা লিখিয়াছেন। এই গ্রন্থে তিনি বলিতেছেন যে চিত্তকে এই জন্যই চিত্ত বলা হয় যেহেতু তাহা চিন্তা করে। চিত্তকে চিত্ত বলিবার আর একটী তাৎপর্য্য এই যে কুশলাকুশল সর্ববিধ ক্রিয়া অতি দ্রুতগতিতে ইহার মধ্যে উপস্থিত হয়। সেইজন্য চিত্তকেই সরাগ সদোষ সমোহ প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষিত করা হয়। সমস্ত চিত্তের মধ্যেই কামনা গৃধুতারূপে অন্তধৃত হইয়া রহিয়াছে এবং তাহারা প্রকট হইয়া উঠিলে তাহাদিগকে চিত্ত বলা যায়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ চিত্রকরণ ব্যাপার লওয়া যাইতে পারে। চিত্রকর্ম ব্যতিরিক্ত চিত্রকরের স্বতন্ত্র চিত্ত নাই, চিত্রকর যখন চিত্র করেন তখন তাহার চিত্তে এই কল্পনা উদয় হয় যে আমি রূপ নিৰ্মাণ করিব। এই কল্পনাবস্থ চিত্তকে চিত্ত-সঞঞা বলা হয়। চিত্তকেই কল্পনারূপে চিত্রের ক্রিয়ারূপে বিধারণ করা হয়, ইহাকেই রেখাদ্বারা গ্রহণ করিলে ও রঞ্জন উদ্যোতন বর্ত্তনাদি ক্রিয়া দ্বারা চিত্রপটে সুবিন্যস্ত করিলে বাহ্য চিত্তক্রিয়া উৎপন্ন হয়। কিন্তু চিত্ত সদা গতিশীল, এই উৎপন্ন চিত্র তাহার চিত্তের মধ্যে আর একটী নূতন বিচিত্ররূপকে উৎপন্ন করে এবং সেই সঙ্গে তাহার চিত্তে নানাবিধ কল্পনা উপস্থিত হয়। চিত্রী মনে করে, এই চিত্রের উপরে এই রকম দিলে ভাল হইত, এইখানে এইরকম দিলে ভাল হইত, উভয় পার্শ্বে এই রকম দিলে ভাল হইত, এই নূতন নূতন কল্পনা অনুসারে সে