পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

 আনন্দকুমার স্বামী তাহার “Transformation of Nature in Art” গ্রন্থে চিত্রোদ্ভাবনবিষয়ে নূতন বর্ণনা দিয়াছেন। বর্ণনাটির তাৎপর্য এই যে যোগী সাধকের ন্যায় শিল্পী সমস্ত বিরুদ্ধ ও বিক্ষেপক মনোবৃত্তি দূর করিয়া দেবতার মূর্ত্তিকে মনোনেত্রে দর্শন করিবেন। তাহার মন সেই দেবতার মূর্ত্তিকে বহুদূর হইতে আকর্ষণ করিয়া নিয়া আসে। পরিশেষে সাধনার আকর্ষণ স্বর্গলোকে পৌঁছায়, যেখানে সমস্ত শিল্প তাহার নীরূপ রূপে বিদ্যমান। সেইখান হইতে তিনি দেবীকে তাঁহার হৃদয়াকাশে আনয়ন করেন। সেই অন্তর্লোকে দ্রষ্টা ও দৃশ্য, শিল্পী ও দেবতার সংস্তব বা পরিচয় ঘটে। দেবীর জ্ঞানসত্তাস্বরূপ অন্তর্জ্ঞেয়রূপে অন্তরাকাশে প্রতিবিম্বের ন্যায়, স্বপ্নের ন্যায় উদ্ভাসিত হইয়া ওঠে। নানা অবয়বসম্পন্ন ও নানা বেশভূষাবতী দেবীর সহিত শিল্পিহৃদয়ের ঐক্য সংঘটিত হয়। আপনার সহিত অভিন্নরূপে এই যে দেবীর পরিচয়লব্ধ স্বাত্ম-সাক্ষাৎকার তাহাকেই শিল্পী প্রস্তরে বা অন্য উপাদানে রূপ দিয়া থাকেন। Fouche প্রণীত “L'iconographie Buddhique de l'nde” গ্রন্থের ১৯০৫ এ প্রকাশিত দ্বিতীয় খণ্ড (পৃ-৭-১১) যে উদ্ধত সংস্কৃত উক্তি আছে, কুমারস্বামী তাহা উদ্ধত করিয়াছেন এবং ডাক্তার বিনয়তোষ ভট্টাচার্যের Icoriography গ্রন্থের ১৬৯ পৃঃ “কিঞ্চিত্ বিস্তর তারাসাধন” পুস্তকের যে অংশ উদ্ধত আছে তাহাও উহা হইতে উদ্ধৃত হইয়াছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে ঐ উভয় গ্রন্থে