পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

তথা নান্তেন মার্গেণ প্রত্যক্ষেণাপি বা খলু।

তাৎপর্য্য এই—ধ্যানযোগের সম্যক্ সিদ্ধির জন্য প্রতিমা নির্মাতা যেভাবে মূর্ত্তিকে ধ্যান করিবেন সেই ধ্যানস্থ স্বভাবই মূর্তির লক্ষণ। ইহা সাধন করিবার অন্য কোনও লক্ষণ বা উপায় নাই। কালিদাস মালবিকাগ্নিমিত্রে বলিতেছেন—

চিত্রগতায়ামস্যাং কান্তিবিসংবাদশঙ্কি মে হৃদয়ম।
সম্প্রতি শিথিলসমাধিং মন্তে যেনেয়মালিখিতা॥

তাৎপর্য এই—মালবিকাগ্নিমিত্রে রাজা পূর্ব্বে মালবিকার ছবি দেখিয়া মনে করিয়াছিলেন যে মালবিকা কখন ও এত সুন্দর হইতে পারে না পরে মালবিকাকে দেখিয়া মনে হইল যে মালবিকার চিত্র হইতে মালবিকা অনেক সুন্দরী। এই প্রসঙ্গে রাজা বলিতেছেন যে মালবিকাকে দেখিয়া মনে হইতেছে যে মালবিকার চিত্র যিনি আঁকিয়াছেন আঁকিবার সময় তাহার সমাধি শিথিল হইয়াছিল সেইজন্যই মালবিকার যথার্থ প্রতিকৃতি ফুটিয়া উঠে নাই। সাধারণতঃ লোকে মনে করে যে কেবল অনুকৃতি করিতে, প্রতিকৃতি অঙ্কন করিতে কোন ধ্যান বা সমাধিব আবশ্যক হয় না, এই জন্য প্লেটোর ন্যায় অতবড় দার্শনিক পণ্ডিত ও বলিয়াছিলেন যে প্রাকৃত সৌন্দর্যের অনুকরণে কোনও বৈশিষ্ট্য নাই কারণ তাহাতে কোনও বিশেষ মানসিক বৃত্তির পরিচয় পাওয়া যায় না; যেমনটী আছে তেমনটী আঁকিয়া দিলেই হইল; কিন্তু প্রতিকৃতি অঙ্কন করিতে গেলেও চিত্রীর চিত্রের মধ্যে চিত্রের মানুষটা ধ্যান-ধৃত না হইলে যে তাহাকে