পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

অনুকরণ-সস্তৃত চিত্তবৃত্তি। কিন্তু অভিনব গুপ্ত বলেন যে বিভাব, অনুভাব এবং ব্যভিচারী এইগুলি একত্র মিলিয়া চিত্তের যে একটি অভিশ্রুতি বা বিগলিত অবস্থা হয়, যাতে কর্তৃত্ব, ভোক্তৃত্ব, বেদকত্ব একেবারে তিরোহিত হইয়া যায় তাদৃশ অবস্থাকেই রসচৰ্বণা বা রসাস্বাদ বলা যায়। ইহা লৌকিক প্রয়োজন জন্য নয় বলিয়া ইহা অলৌকিক। শিল্পশাস্ত্রে বলে যে কোন চিত্রকে যখন আঁকিতে হইবে, তখন তাহার মধ্যে কোনও একটি বিশেষ রসচর্ব্বণা চলিতেছে এইরূপেই তাহাকে আঁকিতে হইবে। যে চিত্রে অন্তরের কোনও বিশেষ ভাবের অনুভব ব্যঞ্জিত হয় না সেইরূপ চিত্র আঁকায় কোনও বিশেষ বিচ্ছিত্তি নাই। সেই সঙ্গে সঙ্গে কোনও একটি ভাবের উদয়, সন্ধি বা শবলতা ফুটাইয়া দিয়া রসের বিশিষ্ট অবস্থাটিও দেখানো প্রয়োজন মনে করা হইত। প্রত্যেক ভাবের সহিত শরীরের যে নানা স্পন্দন হয় তাহাও তাহার মধ্যে তাঁহারা প্রকাশ করিতে চাহিতেন। অভিনয় স্থলে বাক্যাংশের দ্বারা রসের অভিদ্যোতনা করা সহজেই সম্ভব, কিন্তু চিত্রে প্রকাশ করিতে হইলে তাহা কেবলমাত্র মুখভঙ্গি, দৃষ্টিভঙ্গি প্রভৃতি অঙ্গাদির ইঙ্গিতে প্রকাশ করা যায়। এইজন্য চিত্রশাস্ত্রে বহুবিধ দৃষ্টির বর্ণনা আছে। প্রত্যেকটি বিশেষ দৃষ্টি এক একটি বিশেষ ভাবকে ফুটাইয়া তুলিবার জন্য ব্যবহৃত হইত। যথা ললিতা, হৃষ্টা, বিকাসিতা, ভয়ানকা, ভ্রুকুটি, সঙ্কুচিত, যোগিনী, মন্দসঞ্চারিণী ইত্যাদি। অঙ্গুলি রাখিবার বিভিন্ন ভঙ্গীর দ্বারাও বিভিন্ন