পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১১১

এখানে শৃঙ্গারেরও উল্লেখ হইয়াছে অথচ প্রেমরসকেও স্বতন্ত্রভাবে গ্রহণ করা হইয়াছে। এই জন্য অনুমান করিতে হয় যে প্রিয়শব্দ প্রিয়তা সাধারণ পর্যায়, অর্থাৎ যে কোন প্রিয়বস্তু বা হৃদয়দ্রাবী বস্তুদর্শনে যে আনন্দ হয় তাহাকে প্রেমরস বলা হইয়াছে। নাট্যের মধ্যে রস যেমন উভয়াপেক্ষী চিত্রের মধ্যেও তাহাই। এই জন্য এক দিকে যেমন চিত্রেয় ব্যক্তির প্রিয়দর্শনজনিত রস চিত্রে ফুটাইতে পারা যায় এবং তাকে প্রেম নাম দেওয়া যায়, অপর দিকে তেমনি কোনও সুন্দর চিত্রদৰ্শনে দর্শকের চিত্তে যে হৃদয়দ্রাবী ভাব জন্মে, তাহাকেও প্রেম বলা যায়। আমরা ঈশ্বরসংহিতার বচন হইতে দেখাইয়াছি, সৌন্দর্য্য ও লাবণ্যবিভূষিত চিত্র আহ্লাদ উৎপাদন করে। প্রেমরসকে স্বতন্ত্ররসরূপে গ্রহণ করায় এবং হার্দ ও প্রিয়তা এই রসের লাক্ষণিক স্বরূপ বলিয়া বর্ণিত হওয়ায় ইহাকে নিঃসঙ্কোচে একটি স্বতন্ত্র চৈত্রিক রস বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি। কোন একটি চিত্র দেখিয়া বা মূর্তি দেখিয়া আমাদের মনের মধ্যে শুধু তাহার সৌন্দর্য্য ও লাবণ্য বোধের দ্বারা যে আনন্দ ভাললাগা বা দ্রুতহৃদয়তা উৎপন্ন হয় তাহা কেবলমাত্র একটী ভাব নহে কিন্তু তাহা একটী বিশেষ রস। কারণ অন্য সকল রসের ন্যায় লোকোত্তর চমৎকারিতাই ইহার প্রাণ এবং এই রসসম্ভোগকালে দ্রষ্টা ইহাতে এমন করিয়া ডুবিয়া যায় যে সে বেদ্যবেদকভাবশূন্য হয় এবং নিজের সহিত অভিন্নভাবে একটা সমাধির ন্যায় অবস্থায় এই রস আস্বাদন করে। ব্যভিচারি ভাবগুলির একটী