পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

আর একটীতে আসিয়া বিলীন হয়; ইহা কেবলমাত্র একটী ভাব নহে। ইহার মধ্যেই চিত্রগ্রহণ ব্যাপারের সমগ্র ফলটী রসাকারে অনুভূত হয়। ইংরাজীতে বলিতে গেলে ইহাকে বলিব aesthetic joy বা চৈত্রিক আনন্দ। ইহার বিভাব ও অনুমিত ব্যভিচারি ভাবগুলি চিত্র বস্তুর মধ্যেই পাওয়া যায়। এই বিভাবকেই ফুট করিবার জন্য প্রায়শঃ চিত্রে বা ভাস্কর্য্যে তরুলতা গুল্মাদি বা নানাবিধ জন্তু বা অন্য নানাবিধ মূর্তি আঁকিবার ব্যবস্থা আছে। দেবী দশভুজার মূত্তিতে দেবী বীররসের আলম্বন বিভাব। অসুর ও সিংহের পরস্পরের প্রতি বিকটতা ও অসুরের দেবীর প্রতি বিকটতা ও দেবীর দশভুজের দশ প্রহরণ সমস্তই উদ্দীপন বিভাবের কার্য্য করে। দেবীর ভ্রুভঙ্গী ও ভুজাক্ষেপ প্রভৃতি অনুভাবের কার্য্য করে। তত্তদনুভাবের দ্বারা অনুমিত ব্যভিচারি ভাব গুলি তাহার সহিত যুক্ত হইয়া দেবীর মধ্যে যে বীররস প্রকটিত করিয়াছে তাহা ফুট হইয়া উঠে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করিতে পারা যায় যে প্রাচীন দুর্গা মূর্তিতে সিংহ পাওয়া যায় না। ময়ূরের উপরের বসা কার্তিক মহাশয় ও মূষিক বাহিত গণেশ প্রভুর এবং লক্ষ্মী সরস্বতী বা জয়া বিজয়ার কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। বলা বাহুল্য যে চণ্ডীর কল্পনার সহিত এই মূর্তিগুলির সঙ্গতি নাই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ সপ্তম শতাব্দীর Stuart Bridge Collection এর ৭২ নং কৃষ্ণপ্রস্তরের মূর্তিটী উল্লেখ করা যাইতে পারে। ইহা লণ্ডনের British muascum এ রক্ষিত আছে ও রায়