পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১২১

প্রতীতির স্বভাব, অনুমান জ্ঞানের প্রতীতির স্বভাব হইতে বিভিন্ন। প্রত্যক্ষ যে সাক্ষাৎকার আছে অনুমানে তাহা নাই। জ্ঞান প্রক্রিয়ার বৈলক্ষণ্য অনুসারে ও প্রতীতি স্বভাবের বৈলক্ষণ্য অনুসারে প্রত্যক্ষ ও অনুমানকে দুইটী স্বতন্ত্র প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করা হইয়াছে। প্রত্যক্ষ জাতীয় প্রতীতি দ্বারা অনুমান জাতীয় প্রতীতি পাওয়া যায় না, অনুমান জাতীয় প্রতীতি দ্বারা প্রত্যক্ষ জাতীয় প্রতীতি পাওয়া যায় না। বৃত্তি-বৈজাত্য ও ফল-বৈজাত্য এই উভয় রীতিতেই প্রমাণভেদ নির্ণয় করা যায়। বেদান্তপরিভাষাকার লিখিয়াছেন—“ননু কথং বৈজাত্যং বিনা প্রমাণভেদঃ ইতি চেন্ন, বৃত্তিবৈজাত্যমাত্রেণ প্রমাণ-বৈজাতোপপত্তেঃ” (বেদান্ত-পরিভাষা বেঙ্কটেশ্বর প্রেস্ ৩২২ পৃঃ)। প্রত্যক্ষ এবং অনুমান যেমন দুইটী বিভিন্ন প্রমাণ, উপমানকেও তেমনি নৈয়ায়িক মীমাংসক ও বেদান্তী স্বতন্ত্র প্রমাণ বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছেন। ন্যায়-সূত্রে লিখিত আছে-“প্রসিদ্ধধর্ম্মৎ সাধ্যসাধনমুপমান।” প্রসিদ্ধ সাধর্ম্মের দ্বারা কোন অপ্রসিদ্ধ সাধ্যের সাধনকে উপমান কহে! বৃদ্ধ নৈয়ায়িকেরা বলেন যে, কোনও নগরবাসী ব্যক্তি গবয় নামক জন্তুর সহিত পরিচিত নহেন কিন্তু তিনি জানেন, গবয় জন্তু অরণ্যে থাকে এবং তাহা দেখিতে গবয় ন্যায়। পরে অরণ্যে গবয় দেখিয়া তিনি সিদ্ধান্ত করেন যে ইহাই গবয়। এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ গবয়ে গো-সাদৃশ্যের দর্শন। গবয়ে গো-সাদৃশ্য দর্শন করিয়া ও গো-সদৃশ জন্তুকে গবয় বলে ইহা স্মরণ করিয়া অরণ্যের অজ্ঞাত প্রাণীটিকে তিনি যে গবর বলিয়া চিনেন এবং গবর এই