পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

নাম বা সংজ্ঞার সহিত তজুজ্ঞাপ্য গবয় এই সংজ্ঞী প্রাণীর সহিত যে সম্বন্ধ স্থাপন করেন ইহাকেই উপমান কহে। উপমান প্রমাণের ফল সংজ্ঞা-সংজ্ঞি সম্বন্ধ-প্রতীতি। উপমান প্রমাণের মূল এইখানে যে সারূপ্য জ্ঞানের দ্বারা নূতন বস্তুর সহিত পরিচিত হওয়া। প্রমাণ মাত্রেরই উদ্দেশ্য, জ্ঞানবৃদ্ধি বা নূতন জ্ঞান সঞ্চয়। উপমান প্রমাণে আমরা সারূপের দ্বারা অজ্ঞাত নূতনের সহিত আমাদের পরিচয় সম্পন্ন করিয়া থাকি। বৃদ্ধ নৈয়ায়িকের সহিত মধ্যযুগের নৈয়ায়িকের এই বিষয়ে একটু মতভেদ ছিল। তাঁহারা বলিতেন যে গো-সদৃশ গবয় এই সারূপ্য প্রতিপাদক বাক্য হইতেই অজ্ঞাত গবয়কে গবয় বলিয়া সংজ্ঞা-সংজ্ঞি সম্বন্ধে চিনি। এই সংজ্ঞা-সংজ্ঞি-সম্বন্ধপ্রতীতি উপমানের ফল। আর সারূপ প্রতিপাদক গো-সদৃশ গবয় এই অতিদেশ বাক্যকে উপমান প্রমাণ বলেন। আর মধ্যযুগের নৈয়ায়িকেরা বলেন যে ইন্দ্রিয় দ্বারাই সারূপ্যজ্ঞান নিষ্পন্ন হইয়া থাকে কাজেই সে অংশ প্রত্যক্ষ; সেই প্রত্যক্ষের বলে অতিদেশ বাক্য স্মরণ করিয়া যে সংজ্ঞা-সংজ্ঞি সম্বন্ধের প্রতিপত্তি হয় তাহাই উপমানের ফল। তাহা হইলেই ন্যায়-সূত্রের অর্থ হইল, প্রসিদ্ধ গোপিণ্ডের সাধর্ম্ম্যের দ্বারা সংজ্ঞী গবয়পিণ্ডের সহিত গবয় এই নামের সম্বন্ধের (সাধ্যের) বোধন বা সাধনের নাম উপমান। বেদান্তী ও মীমাংসক বলেন যে অরণ্যে পূৰ্বে অদৃষ্ট নূতন একটী জন্তু দেখিয়া তাহার সহিত গোর সাদৃশ্য নয়ন গোচর