পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

কোন পর্য্যনুযোগ সম্ভব নহে। যদি আমরা বস্তু দেখিবার কালে ছাড়া তাহার অবয়ব-সম্বন্ধের স্বতন্ত্ররূপ মনে না করিতে পারিতাম তাহা হইলে চিত্রব্যাপার অসম্ভব হইত। চিত্রী যখন দুষ্মন্তের শরভয়কাতর মৃগশাবকের ছবি আঁকে তখন তাহার সম্মুখে কোন মৃগশাবক উপস্থিত থাকে না, সে হয়ত কোন সময় কোনও ভীত মৃগশাবক কিম্বা ভীত কুকুর দেখিয়াছে কিন্তু সেই বিশেষ মৃগশাবক বা কুকুর তাহার সমগ্র বৈশিষ্টো ও স্বালক্ষণ্যে তাহার চিত্তের মধ্যে উপস্থিত নাই, অথচ তাহার অবয়ব-সন্নিবেশ ও ভয়কালে অবয়ব-সন্নিবেশের বৈচিত্র্য ও মুখভাবের বিকার তত্তদ্দেশকালনালিঙ্গিত স্বভাবে তাহার মনের মধ্যে বিস্মৃত হইয়া রহিয়াছে। হয়ত তাহা তাহার সংস্কারের তলদেশে প্রচ্ছন্ন হইয়া রহিয়াছে। যেমন সে একটা একটী অবয়বকে মনের সামনে ধরিতেছে তেনি তাহারই উদ্বোধকতায় অন্য অন্য অবয়ব সন্নিবেশের ছবি তাহার মনে ফুটিয়া উঠিতেছে। ধ্যানধৃত এই ছবিটীকে সে যখন রেখাদ্বারা রূপ দিতে চেষ্টা করে, তখন প্রত্যেকটী রেখাপাতের সহিত তাহার ধ্যানধৃত রূপটীকে মিলাইয়া লয় যে তাহা তাহার মনের ছবির অনুরূপ হইতেছে কিনা। এমনি করিয়া সমগ্র ছবিটী ফুটাইয়া তুলিয়া সে যখন নিশ্চিতভাবে তাহার মনের চিত্রের সহিত চিত্রিত বস্তুর ঐক্য উপলব্ধি করিতে পারে তখন সে তাহার চিত্রাঙ্কণ সিদ্ধ হইল বলিয়া মনে করে। অন্য দর্শকেরাও সেই চিত্র দেখিয়া তাহাকে ভীত মৃগশাবক বলিয়া চিনিতে পারে। কিন্তু চিত্রিত